ধর্মপাশায় কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ বুধবার রাত ০২:১০, ২০ এপ্রিল, ২০২২
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল চাপে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ডোবাইল ফসলরক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে যাবার পর; ডোবাইল হাওরের ১৮৫ হেক্টর বোরো জমির আধাপাকা ধান পানিতে তলিয়ে যায়। গত ৪ এপ্রিল বিকেল চারটার দিকে এই ফসল ডুবির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ডোবাইল ফসলরক্ষা বাঁধটির দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার;পিআইসি নং ৭৫। বাঁধের এই কাজের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় প্রায় ২৩ লাখ টাকা। পিআইসির সভাপতি হলেন, নূরুল হুদা ও সদস্য সচিব হলেন সাগর মিয়া। পিআইসিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তি বাবদ বরাদ্দের শতকরা ৫৭ ভাগ টাকা দেয়া হয়েছে। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এই বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করা হয়।
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে ডোবাইল বাঁধ ভাঙ্গার পড়েই সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন তালুকদার প্রশাসনকে জানান, সুইখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম হতে হুগুলিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করলে উপজেলার বাকি প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমীর ফসল রক্ষা পাবে। তাই সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মৌখিক নির্দেশে, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন তালুকদার এই বাঁধটি নির্মাণ করেন এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন তালুকদার বলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়দের মৌখিক নির্দেশে আমি এই বাঁধ নির্মাণ করেছি ও বাঁধের সার্বক্ষণিক তদারকি করছি, দিনরাত এই বাঁধের গোড়ায় সময় দিচ্ছি। বাঁধটি নতুন হওয়ায় প্রতিদিনই কোন না কোন দিক দিয়ে ছোট ছোট গর্ত হতেই থাকে; তাই কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে আমাকে সবসময় বাঁধের পাড়ে থাকতে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ সপ্তাহ খানেক সময় বাঁধটি সুরক্ষিত রাখতে পারলে হাওরের সকল ফসল কৃষকের ঘরে তুলতে পারবে।
তিনি আরও জানান, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুনতাসীর হাসান পলাশ স্যার আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন; খোঁজ খবর নিচ্ছেন; বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন এবং তিনিও দিনরাত উপজেলার বিভিন্ন বাঁধের গোড়ায়-গোড়ায় দৌড়াচ্ছেন।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুনতাসীর হাসান বলেন, ডোবাইল বাঁধ ভাঙ্গার পরে; ডিসি মহোদয় বাঁধ পরিদর্শন করেছেন এবং উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।