গোমতী নদীতে চাঁদাবাজদের ধাওয়া দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা সোমবার রাত ১০:১২, ১৪ জুন, ২০২১
দাউদকান্দি উপজেলার গোমতী নদীতে নদী চলমান বালুর ও মালবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা তোলার সময় ধরতে চেষ্টা করলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)-কে দেখার পর চাঁদাবাজরা পালিয়ে যান।
আজ (১৪ জুন,২০২১ খ্রি.) সোমবার আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ টায় দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়নের কদমতলী ও নন্দনপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে অজ্ঞাত জলদস্যুরা জাহাজ থেকে টাকা তোলার সময় জলদস্যু–চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে যান দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী।
উপজেলা চেয়ারম্যানের ভয়ে চাঁদাবাজদের ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা ফেলে জলদস্যুরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শেষে দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, উপজেলার গৌরীপুর থেকে নৌকা যোগে দাউদকান্দি আসার পথে, পথিমধ্যে সদর উত্তর ইউনিয়নের নন্দনপুর কদমতলী গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে একদল অজ্ঞাত ভূমিদস্যু এবং চাঁদাবাজ বাল্কহেড প্রতি ২শতো থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা হারে অবৈধভাবে পণ্যবাহী জাহাজ থেকে জোরপূর্বক টাকা নিচ্ছিলেন।
তাৎক্ষণিক জাহাজ চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে থাকা নেতাকর্মীরা জলদস্যুদের ধাওয়া করলে তারা নৌকা এবং নৌকায় থাকা ধারালো অস্ত্র রেখে গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরে চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত নৌকা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে (দাউদকান্দির–চান্দিনা) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানা’র সহযোগিতায় দাউদকান্দি মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। যা একেবারেই আইন পরিপন্থী অবৈধ। আমি সন্ত্রাসী–চাঁদাবাজদের নির্মূলে আমি বদ্ধপরিকর।দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে,সে যতই প্রভাবশালী হোক ছাড় দেয়া হবেনা।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি,চাঁদাবাজির সাথে কেউ জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।