ঢাকা (সকাল ৮:২৬) শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধর্মপাশায় জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নিল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

<script>” title=”<script>


<script>

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জোর পূর্বক আব্দুল ওহাব (৭০) নামে এক কৃষকের জমির পাকা বোরো ধান কেটে নিয়ে গেছে বলে, এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের সামনের হাওরে, ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল ওহাবের প্রায় ৮০ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে নিয়ে গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা ও পাইকুরাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে, পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান তার নেতৃত্বে বিরোধপূর্ণ ওই জমির কিছু ধান কেটে নিয়ে আসার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে মোট ৮০ শতাংশ ভুমির মধ্যে আব্দুল ওহাব চাচার কাছে আমার বাবা মাত্র ৪৮ শতাংশ জায়গা বিক্রি করলে, বাকি ৩২ শতাংশ জমির রেকর্ডিয় মালিক হলেন আমার এক ফুফু। আর আমার এক ভাই ফুফুর ওই জমিতে বোরো আবাদ করছে বলেই আমরা ওই জমির ধান কেটে নিয়ে এসেছি। তবে ওই জমি নিয়ে আদালত যে রায়ই প্রদান করেন, আমরা তাই মেনে নিব এবং এ নিয়ে আমরা কোনো ধরনের ঝামেলায় জড়াবোনা।

জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানের বাবা মৃত আব্দুল মতলিব জীবিত থাকাবস্থায়, বাড়ির পাশে থাকা ভাটগাঁও মৌজায় ৪৬৬ হাল খতিয়ানের ৫৯৫ দাগে, তার রেকর্ডিয় ৮০ শতাংশ জায়গা তিনি বিগত ১৯৯২ সালে, একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের কাছে সাফ কাবালা মূলে বিক্রি করেন। আর তখন থেকেই আব্দুল ওহাব উক্ত ভুমি ভোগ দখল করে আসছিলেন।

কিন্তু গত প্রায় ৪-৫ মাস আগে থেকে উক্ত জমিতে তার ফুফুদের অংশ রয়ে গেছে বলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানসহ তার ভাইয়েরা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই এক পর্যায়ে জমির মালিক আব্দুল ওহাব, গত ২৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে এব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেন।

উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিরোধ পুর্ণ ওই ভুমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু সোমবার সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে আসেন।

জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আব্দুল ওহাব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি একজন নিরীহ কৃষক। ফেরদৌস চেয়ারম্যান এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি তার লোকজন নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য কইরা জোর করে আমার জমির ধান কাইট্যা লইয়্যা গেছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই, বলে তিনি কাঁদতে থাকেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধর্মপাশা থানার এএসআই মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং এ বিষয়ে থানায় গিয়ে ওসি স্যারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে এখনো কেউ কিছু জানায়নি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT