রাজারহাটে অদম্য মেধাবী মাসুদ রানা প্রথম বারেই বিসিএস ক্যাডার
নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার সকাল ১১:৪৫, ৬ জুলাই, ২০২০
রমেশ চন্দ্র সরকার, রাজারহাট ( কুড়িগ্রাম ) প্রতিনিধি : রাজারহাটে মাসুদ রানা জীবনে প্রথম বারেই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রাণীসম্পদ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ৩৮ তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফলে বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ এর চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএস পরীক্ষায় উপজেলা থেকে তিন জন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মাসুদ রানা উপজেলার রাজারহাট সদর ইউপির শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা মো.বাছের আলী ও গৃহিণী রুবি বেগমের বড় ছেলে। তার পিতা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
জানা যায়, মাসুদ রানা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে উত্তীর্ণ হন এবং রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১১ সালে এইচ.এস.সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে জিপিএ-৫ নিয়ে উত্তীর্ণ হন এবং রংপুর সরকারি কলেজের সকল ছাত্রের মধ্যে অন্যতম সেরা ছাত্র হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন । মাসুদ রানা স্কুল জীবন থেকেই পড়া লেখার প্রতিটি শ্রেণিতে মেধাবির স্বাক্ষর রেখেছেন। এর আগে সে ৫ম এবং ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
পরবর্তিতে ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একাডেমিক পড়াশনার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ৩৮ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে অ্যাপেয়ার্ড দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন মাসুদ রানা
বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন এবং পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষা দেন।কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক সহযোগীতার জন্য ফলাফল প্রকাশ আগেই বাধ্য হয়ে চাকুরিতে প্রবেশ করেন। তিনি বর্তমানে মেহেরপুরে একটি সংস্থায় প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মাসুদ রানা তার এ সফলতা নিয়ে এ অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন,আমি সত্যিই খুব অভিভূত যে আমার রাজারহাটের সবাই আমাকে এতটা ভালবাসে। আমি আমার জীবনের এই সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিতে চাই আমার মা,বাবা সহ সকল স্যারদের এবং বন্ধুদের। যারা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আমি রাজারহাটের আর্থিক সংকটে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কাজ করতে চাই।