মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ০৯:১৮, ৭ মে, ২০২০
মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজারঃ ৭ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক জনাব মো: আল-আমিন এর নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর হাট বাজার ও দোকানে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। শমসেরনগর রোড, ভেতরবাজার, মাছবাজার, মুন্সিবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করে ব্যবসায়ীদের সর্বনিম্ন লাভে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্রয় ভাউচারের সাথে বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। অনেক মানুষের আয় কম এবং অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদেরকে সর্বনিম্ন লাভে বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চাঁদনীঘাট ব্রিজের পাশে
নিছা এন্টারপ্রাইজের ট্রাকে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় হচ্ছে। উক্ত অভিযানে তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা বিক্রির কাজে নিয়োজিত ট্রাক ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করা হয়।
সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটার, চিনি ৫০ টাকা কেজি, ডাল ৫০ টাকা কেজি, ছোলা ৬০ টাকা কেজি, খেজুর ১২০ টাকা কেজি দরে টিসিবির ট্রাকে ডিলারগণ বিক্রয় করছেন। উক্ত তদারকি অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখা, অনৈতিক ভাবে রসুনের দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করা, তথ্য গোপন করা, ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে মাছবাজারে অবস্থিত শিপন মিয়ার মাছের দোকানকে ৪ হাজার টাকা, মুন্সিবাজারে অবস্থিত মেসার্স সালাউদ্দিন ষ্টোরকে ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং কেউ যাতে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে না পারে, ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে সেই ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যবসায়িবৃন্দরা।