মুক্তিপনে ছাড়া পেলো ভোলার অপহৃত ১৬ জেলে
কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা বৃহস্পতিবার রাত ১০:৪৬, ১৬ জুলাই, ২০২০
ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ১৬ জেলেকে অপহরন করেছে জলদস্যূ। অপহরনের ১দিন পর মুক্তিপন দিয়ে ছাড়া পেয়েছে জেলেরা।
জলদস্যূদের বেদম প্রহারে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে জেলে নৌকার মাঝী মো. সেলিম মাঝী (৩৮) ও জাকির (৩০) নামের দুই
জেলে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ৩ টায় হাতিয়ার মোক্তার খাল সংলগ্ন মেঘনায় মাছ ধরার সময় এই অপহরনের ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেরা হলেন, সেলিম মাঝি, সোহাগ, জাকির, নাজিম, মনজু, মাকসুদ, শাহাদাত, আজগর, ইমাম হোসেন, সাহেদ, জুয়েল, জামাল, শাহে আলম, জাকির-২, নুরে আলম ও রাকিব। অপহৃত জেলেরা জানায়, উপজেলার দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নের মতিন ফরাজীর নৌকা স্থানীয় সেলিম মাঝীর অধীনে মেঘনায় মাছ ধরতে যায়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টায় হাতিয়া উপজেলার মোক্তার খাল সংলগ্ন মেঘনায় জাল ফেলে মাছ ধরছিলো। এমন সময় হাতিয়ার জলদস্যূ মহিউদ্দিন বাহিনীর একটি ট্রলার এসে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এবং তাদের নৌকার সাথে জলদস্যূদের ট্রলার বেঁধে ফেলে। এসময় জেলে নৌকায় থাকা ১৬ জেলেকে চোখ বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাথারী মারধর করতে থাকে। জেলেদের সাথে থাকা সকল মেবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এসময় জলদস্যূরা জেলে নৌকাটিকে একটি নির্জন চরে নিয়ে যায়। এবং নৌকার মালিক মতিন ফরাজীর কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবী করে।
পরবর্তীতে অপহরনের ১দিন পর নৌকার মালিক পক্ষ মুক্তিপনের টাকা দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয় জলদস্যূ মহিউদ্দিন বাহিনী। এছাড়া প্রতি বর্ষা
মৌসুমে টোকেন সংগ্রহ না করলে জেলেদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জলদস্যূরা।
এ বিষয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটি ঘটেছে মেঘনা নদীর হাতিয়া সীমানায়। তবুও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। জলদস্যূদের ধরতে মেঘনায় অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।