ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:২৯) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ধর্মপাশায় সংবাদ সম্মেলন

মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) Clock রবিবার রাত ১১:৫৫, ২২ আগস্ট, ২০২১

আওয়ামী নির্মাণ শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা এম এ মোতালিব চিশতির বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়া ও ফ্লাট দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতারণায় শিকার উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওলা গ্রামের সালা উদ্দিন (৫৫) নামের এক কৃষক এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পাশ্ববর্তী নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নাজমা আক্তার, একই উপজেলার বরান্তর গ্রামের শাহ জাহানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম,কলুংকা গ্রামের নাজিম উদ্দিন।

এ ছাড়া সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন রানা ,সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক সোহান আহমেদ, সাংবাদিক সালেহ আহমদ, মোবারক হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিথিত বক্তব্য পাঠ করেন কৃষক সালা উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই কৃষক উল্লেখ করেছেন, এম এ মোতালিব চিশতি ও আমি একই উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় সে আমার পূর্ব পরিচিত। আমার মেয়েকে এক মাসের মধ্যে শিক্ষা সচিবালয়ে অফিস সহকারি পদে চাকরি ও ঢাকা দিয়া বাড়ি উত্তরায় অসহায় দুস্থ ব্যক্তির লোকজনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর  নির্মিত ফ্লাট দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে গত ২০ফেব্রুয়ারি নয় লাখ টাকা নেয়। এ সময় মোতালিব চিশতির মা সুফিয়া আক্তার ওরফে সুমি ও তার বোন জামাই সেলিম মিয়া সেখানে ছিল। টাকা নেওয়ার পর নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল।

গত ২৫মার্চ একটি ফ্লাটের চাবি নেওয়ার কথা বলে সে আমাকে ঢাকায় যেতে বলে। আমি ঢাকায় গিয়ে তার ঠিকানামতো স্থানে তাকে না পেয়ে এবং তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পেয়ে বাড়িতে চলে আসি। এ ছাড়া বাংলদেশ সেনাবাহিনী, শিক্ষা সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্মিত ফ্লাট দেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মুফতি রোমানির কাছ থেকে ১৮লাখ টাকা,নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে নয় লাখ টাকা,একই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নাজমা আক্তারের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা,বরান্তর গ্রামের শাহ জাহানের কাছ থেকে এক লাখ ৭০হাজার টাকা,ধর্মপাশা  উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের কামরুল মিয়ার কাছ থেকে ২ লাখ ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি এম এ মোতালিব চিশতি একটি প্রত্যারক চক্রের সঙ্গে জড়িত।আমরা এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

অভিযুক্ত আওয়ামী নির্মাণ শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি এম এ মোতালিব চিশতি  দাবি করেন, সালা উদ্দিন আমার সম্পর্কে নানা হন। তিনি আমার পরিচিত। তার সঙ্গে কোনো অর্থনৈতিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি। চাকরি বা ফ্লাট দেওয়ার কথা বলে আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। টাকা নেওয়ার বিষয়টি কেউ প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি হয় তাই আমি মাথা পেতে নেব। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য স্থানীয় একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT