গনপরিবহন শ্রমিক অনিশ্চয়তার মধ্যে
মোঃ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাত ০৮:৪৯, ৯ এপ্রিল, ২০২০
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে গনপরিবহনের চাকা বন্ধ দু’সপ্তাহ দরে। সড়কে চলমান বাস,সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন স্ট্যান্ড ও গ্যারেজে বাড়িতে। এমন পরিস্তিতিতে বিপাকে পড়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার সিএনজি ও বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক। এদের মধ্য অনেক শ্রমিক রয়েছেন ট্রিপ বা দৈনিক হিসাবে অায় করতেন। অল্প কিছু শ্রমিক রয়েছেন মাসিক বেতনে। সে সংখ্যাটি অত্যান্ত সামান্য। জানা গেছে, গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহণের সাথে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক এখন সাংসারিক জীবনযাপন করছেন। প্রতিমাসে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা আদায় করা শ্রমিক নেতাদেরও পাঁশে পাচ্ছেনা তাঁরা। কখন অবস্থা স্বাভাবিক হবে এই নিয়ে চরম অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছে তারা। উপজেলার রাঙ্গাউটি গ্রামের অটোরিক্সা চালক জামিল আহমদ বলেন, ১২দিন ধরে পরিবার নিয়ে খুবকষ্টে জিবন কাটাচ্ছি। যা জমা ছিল তা সব শেষ,ঘরে খাবার নেই। প্রতিদিন আমাদের কল্যাণের নামে সমিতিতে চাঁদা দিতাম। কিন্তু এই দুঃসময়ে শ্রমিক নেতাদের কেউ খুঁজও নিচ্ছে না। এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে বউ বাচ্চারা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। বড়লেখা শাহবাজপুর এলাকার অটোরিক্সা চালক তারেক আহমদ, রেল কলনীর তবারক আলী একই মতামত জানান। তাদের অভিযোগ -প্রতিদিন স্ট্যান্ডে শ্রমিক কল্যাণের নামে টাকা দেই কিন্তু আজ ১২ দিন ধরে বাহন বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্তায় স্ট্যান্ডের সভাপতি সম্পাদক কেউ তাদের খুঁজ নিচ্ছেনা। সরকারি কোন ত্রান পাননি। । একদিকে করোনা আতংক অন্যদিকে রুজিরোজগার নেই। চাল,ডাল নেয়ার মত টাকাও নেই,কেউ কোন খবর নিচ্ছে না, একদিগে করোনা আতংক অন্যদিগে অনিশ্চতার মোধ্য আছি। বড়লেখা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন ও সম্পাদক আব্দুল হক বলেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩২ টি সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৭হাজারের মত যাদের বেশির ভাগ প্রতিদিনের গাড়ি চালিয়ে আয়ের উপরে চলত। আজ ১২ দিন দরে গাড়ি বন্ধ তাকায় অনেকেই খেয়ে না খেয়ে আছে। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা পরিষদ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করছি।আশা করছি শীগ্রই ত্রাণের ব্যবস্থা হবে।