খোঁজ নিয়ে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিআতা,শিবরামপুর ও মাইয়াজুরী এলাকার কিছু সংখ্যক লোক সংঘবদ্ধ হয়ে টাংগুয়ার হাওরের দায়িত্বে থাকা আনসারদের ম্যানেজ করে হাওরের ভিতরে নৌকা নিয়ে প্রবেশ করে। এরপর সবাই মিলে টাংগুয়ার হাওরের লেইছ্যামারা কান্দা নামক স্থান থেকে অবাধে নলখাগড়া,চাইল্লা ও বল্লুয়া বন কাটতে থাকে। এই খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৪টি কাঠের নৌকাসহ বন আটক করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে সবাই পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সংঘবদ্ধ এই চক্রটি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন অবাধে টাংগুয়ার হাওরের মাছ,বন ও গাছ কেটে অবাধে বিক্রি করছে। এর ফলে হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাট হুমকির মুখে পড়েছে।
এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ সাংবাদিকদেরকে বলেন- টাংগুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হাওরের পরিবেশ যারা নষ্ট করছে তাদেরকে কখনোই ছাড় দেওয়া হবেনা।
]]>এসময় জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন- সাধারণ জনগনের সেবার করার লক্ষ্য নিয়ে আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করি। প্রায় ৪৪ বছর যাবত নিঃস্বার্থ ভাবে জনসেবা করে যাচ্ছি। আমার তাহিরপুর উপজেলা একটি হাওর এলাকা। এখানকার মানুষ খুবই অবহেলিত। তাই আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দিনরাত শুধু সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি।
রাস্তাঘাট,ব্রিজ-কালভার ও হাওরের বেরী বাঁধ নির্মাণ করেছি। আর যে কাজ গুলো অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলো সমাপ্ত করার জন্য সারাক্ষণ ছুটে বেড়াচ্ছি। আমি অবহেলিত তাহিরপুর উপজেলাকে আর অবহেলার মাঝে থাকতে দেবনা। তাহিরপুর উপজেলাকে একটি দৃষ্টি নন্দন উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। সেজন্য আমি সবার আন্তরিক সহযোগীতা চাই। আজ আমাকে যে সম্মান দেওয়া হয়েছে তার জন্য আমি আমার জেলা ও উপজেলাবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কারণ তাদের সার্বিক সহযোগীতা না পেলে আমি এত দূর আসতে পারতাম না। তাদের সহযোগীতার জন্যই আমি এই সম্মান অর্জন করতে পেরেছি। আজকের এই সম্মান আমার দায়-দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমি যতদিন বাঁচব ততদিন জনগনের সেবা করব। তাদের তরে বিলিয়ে দেব আমার এই জীবন।
অনুষ্ঠিত সম্মাননা সভা শেষে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এসময় তিনি বলেন- হাওর রক্ষা বাঁধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও জনসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলকে জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। আশা করি তিনি জনগণের স্বার্থে এলাকার উন্নয়নের জন্য আরো ভাল কাজ করবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী,শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মুক্তাদির,সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রিফাতুল হক ও জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাসহ আরো অনেকেই।
]]>খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জেলার তাহিরপুর উপজেলার মাঝে ‘‘তাহিরপুর-বাদাঘাট’’ সড়কটি হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই সড়কটি নির্মাণের নামে প্রতিবছর চলে নানান নাটকীয়তা। সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সড়কের নির্মাণ কাজ না করার কারণে প্রতিবছরই সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা নষ্ট হচ্ছে। আর সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই উপজেলার লক্ষলক্ষ মানুষকে। সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বর্যাকালে ইঞ্জিনের নৌকায় চলাচল করতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে কাচা ও পাকা ভাংগাচুরা সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে হতে হচ্ছে দূঘটনার শিকার। কিন্তু তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের মোট দৈর্ঘ্য মাত্র সাড়ে ৮ কিলোমিটার। তার মধ্যে তাহিরপুর সদর হতে টাকাটুটিয়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার আরসিসি পাকা সড়ক। যার বেশির ভাগ অংশ ভাংগা। এসড়কের পোছনারঘাট এলাকা হতে পাতারগাঁও গ্রাম হয়ে চকবাজার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার পুরোটাই মাটির সড়ক। আর এই ১ কিলোমিটার সড়কের কাজ গত ২ যুগেও শেষ হয়নি। অথচ প্রতিবছর এই ১ কিলোমিটার মাটির সড়কটি নির্মাণ করার জন্য সরকার কর্তৃক লক্ষলক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে এই ১ কিলোমিটার মাটির সড়কটি বর্তমানে লক্ষলক্ষ মানুষের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আর চকবাজার হতে বাদাঘাট বাজার পর্যন্ত বাকি ৪ কিলোমিটার রয়েছে পাকা সড়ক। এই সড়কটি আংশিক ভাংগা হলেও মানুষ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে সারাবছর যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু এই সড়কের মাঝখানে অবস্থিত পোছনারঘাট হতে চকবাজার পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার মাটির সড়কটি বর্যাকাল আসলেই পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে যায়। এবং এই সড়কের কয়েকটি স্থান পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই বর্যার প্রায় ৩-৪ মাস জীবনের ঝুকি নিয়ে এই ডুবন্ত জায়গা নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় নেতৃবন্দদের সহযোগীতায় উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে লক্ষলক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাংগা সড়কটি লিজ নেয়। এরপর সারাবছর মাটির এই সড়কের উপর চলে টাকা খেলা। কিন্তু এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি যেন দেখার কেউ নেই।
এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন,আব্দুস সালাম,নুর আলী,আশরাফ আলী,আব্দুর রহমান, ইসলাম উদ্দিনসহ আরো অনেক ভোক্তভোগীরা বলেন- তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের সাড়ে ৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ১ কিলোমিটার মাটির রাস্তা “পোছনারঘাট হতে চকবাজার” পর্যন্ত সঠিক ভাবে নির্মাণ করলেই সারাবছর বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারত। কিন্তু এলজিইডির সহযোগীতায় সংশ্লিস্ট ঠিকাদাররা অসময়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ করার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির নির্মাণ আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি। উজান তাহিরপুর গ্রামের রিক্সাচালক শামসু মিয়া বলেন- আমার শান্তি পরিবহণ নিয়ে খুবই অশান্তির মাঝে আছি শুধুমাত্র সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য। গত ৩০বছর যাবত চলছে এই সড়কের নির্মাণ কাজ। কিন্তু শেষ হবে কবে।
জয়নাল আবেদিন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আলী মর্তুজা,বাদাঘাট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী রাশিদ ভূঁইয়া,কবির ভূঁইয়াসহ আরো অনেকেই বলেন- জনগুরুত্বপূর্ণ ‘‘তাহিরপুর-বাদাঘাট” সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই উপজেলাবাসীর অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। তাহিরপুর উপজেলার প্রবীন সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ,পল্লী চিকিৎসক সুলতান মাহমুদ,যাত্রীবাহী মোটর সাইকেল চালক হান্নান,সুমন মিয়া বলেন- তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে এই উপজেলার লক্ষলক্ষ মানুষ যুগযুগ ধরে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল করিব বলেন- তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের বিষয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠিয়েছি,প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ পেলে শীগ্রই এই সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পর্ণ করা সম্ভব হবে। তাই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করছেন তাহিরপুর উপজেলার লক্ষলক্ষ অসহায় ভোক্তভোগী জনসাধারণ।
]]>এব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাত ৭টায় জেলার তাহিরপুর সীমান্তের লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের যাদুকাটা নদী দিয়ে বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল, নবীকুল,জসিম মিয়া,নুরু মিয়াগং ভারতের ভিতরে প্রবেশ করে পাথর ও কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন শাহ আরেফিন মোকাম এলাকাসহ যাদুকাটা নদীর তীরে মজুত করে। আর মদ,গাঁজা বিড়ি ও ইয়াবা পাচাঁর করে বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতর লুকিয়ে রাখে। এই খবর পেয়ে যাদুকাটা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েজ মদসহ মাদক ব্যবসায়ী কাউসার মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজিবি। কিন্তু সোর্সদের গ্রেফতারের ব্যাপারে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
অথচ এই লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে বিজিবি ও সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ ১১ রাউন্ড গুলি বর্ষন করা হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় নারী,শিশু ও বিজিবি সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়। পরে সালিশের মাধ্যমে এই ঘটনাটি সমাধান করে এলাকাবাসী। তারপরও ১০জনের নাম উল্লেখসহ গং দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে বিজিবি। কিন্তু লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে পাথর ও কয়লাসহ মাদক পাচাঁর বন্ধ হয়নি। কারণ সোর্সদের গ্রেফতারের ব্যাপারে কখনোই নেওয়া হয়না কোন পদক্ষেপ।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন-ভারতীয় মদসহ কাউসার মিয়া নামের একজনকে বিজিবি গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করার পর মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
]]>এলাকাবাসী জানায়- গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে জেলার তাহিরপুর উপজেলার স্টেডিয়াম মাঠ ভরাট করার জন্য থানার ব্রিজ সংলগ্ন বৌলাই নদীতে বসানো হয় একটি ড্রেজার মেশিন। সেই মেশিনের লোহার পাইপ দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে মাটি,বালি ও পানির মিশ্রণের সাথে উঠে আসে রহস্যময় গোলাকৃতির ১টি স্বার্ণালী বাটি। ওই সময় মাঠে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে শিশু বিমল বর্মন (৮) সেই স্বার্ণালী বাটি কুড়িয়ে পায় এবং তার সাথে থাকা দুই বন্ধুকে দেখায়। তখন স্বর্ণের বাটি পাওয়ার আনন্দে ৩বন্ধু নাচতে থাকে। এসময় খেলার মাঠ সংলগ্ন পাকা রাস্তায় হাটাহাটি করছিল উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সুষেন বর্মণ। স্বর্ণের বাটি নিয়ে ৩শিশুকে আনন্দ করতে দেখে সুষেন বর্মণ তাদের কাছে যায়। তারপর শিশু বিমলের কাছ থেকে স্বর্ণের বাটিটি দেখার কথা বলে চেয়ে নেয়। পরে বাটি ফেরত চাইলে সুষেন বর্মণ শিশু বিমলকে দমক দেয় এবং বাটি নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। তারপর শিশু বিমল কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে বাবা অমর বর্মন ও মা উর্মি বর্মনকে ঘটনাটি জানায়। পরে বিমলকে নিয়ে তার মা-বাবা সুষেন বর্মণের বাড়িতে যায়। তারা তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের মধ্য-তাহিরপুর (খলাহাটি) গ্রামের বাসিন্দা।
এব্যাপারে উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সুষেন বর্মণ বলেন- স্বর্ণালী রংঙ্গের যে বাটি আমি শিশু বিমলের কাছ থেকে নিয়ে ছিলাম সেটি তাদেরকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি।
শিশু বিমল বর্মণের মা উর্মি বর্মণ বলেন- আমার ছেলে যে বাটি পেয়ে,জানতে পেরেছি সেটি প্রাচীন আমলের একটি রাজকীয় স্বর্ণের বাটি। তাই সুষেন বর্মণ সুকৌসলে আমার ছেলের কাছ থেকে বাটিটি কেড়ে নিয়ে গেছে। আমি তার বাড়িতে গিয়ে বাটি ফেরত চাইলে সে দুই দিনের সময় নেয়। কিন্তু ২মাস পেরিয়ে গেলেও রাজকীয় স্বর্ণের বাটিটি এখনও পর্যন্ত ফেরত দেয়নি। উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সুষেন বর্মণ আমার ছেলের কুড়িয়ে পাওয়া রাজকীয় স্বর্ণের বাটি আত্মসাৎ করতে চাইছেন। আমি আমার ছেলের স্বর্ণের বাটি ফেরত চাই। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
]]>এলাকাবাসী জানায়- গতকাল ১৫.১১.২০ইং রবিবার রাত ৮টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী রমজান মিয়া,বাবুল মিয়া ও শফিকুল ইসলাম ভৈরব চোরাই কয়লার শ্রমিক সর্দার কুদ্দুস মিয়াকে নিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা ও মাদক পাচাঁর করে। পরে বাঁশতলা গ্রামের জলিল মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ দিকে সমসার হাওর পাড়ে চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার নৌকায় বোঝাই করে। খবর পেয়ে চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা হাওরে অভিযান চালিয়ে ১টি কাঠের বারকি নৌকাসহ ২ মে.টন অবৈধ চোরাই কয়লা আটক করে। কিন্তু নৌকায় থাকা কয়লার মালিক বাবুল মিয়া ও কুদ্দুস মিয়াসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এরআগে বিকাল ৪টায় একই সীমান্ত দিয়ে উপরের উল্লেখিত সোর্সরা কয়লা পাচাঁর করে বাঁশতলা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘর,পুকুর ও হাওরের পানিতে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বাঁশতলা গ্রামের ইসব আলীর বাড়ির দক্ষিণ দিকের পুকুরের তীর থেকে আরো ২ মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করে। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট,লাকমা ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম,জিয়াউর রহমান জিয়া ও লেংড়া জামালের নেতৃত্বে প্রতিদিন ভারত থেকে কাঠ,লাকড়ি,বাঁশ,মদ,গাঁজা,কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানান। তবে গত ৪ মাসে সীমান্তের লামাকাটা,জংগলবাড়ি,বাঁশতলা,লালঘাট,লাকমা ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে প্রায় কোটি টাকার কয়লা ও মাদক পাঁচার করে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা সদরের মনতলা নিয়ে বিক্রি করেছে সোর্স পরিচয়ধারী ও চিহ্নিত চোরাই কয়লা ব্যবসায়ীরা। এছাড়া টেকেরঘাট,চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের রজনীলাইন, রাজাই,বারেকটিলা,যাদুকাটা নদী,পুরান লাউড়,সাহিদাবাদ ও মনাইপাড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা সিন্ডিকেড তৈরি করে প্রতিদিন কয়লা,মদ,বিড়ি,ইয়াবা,অস্ত্র ও গরু পাচাঁর করছে। তবে চোরাই কয়লা নিয়ে ইতিমধ্যে সীমান্তের লাউড়গড়, জংগলবাড়ি ও লালঘাটে বিজিবি ও চোরাচালানীদের সাথে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা।
এব্যাপারে বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক আক্তার হোসেন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিনই আমাদের অভিযান চলছে। কিন্তু সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমের সরকারি মোবাইল নাম্বারে কল করলে রহস্য জনক কারণে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
]]>