বিএসএফের গুলিতে ৬ বাংলাদেশি আহত হয়ে পালিয়ে গেলেও বিজিবি গুলিবিদ্ধ ১ চোরাকারবারীকে আটক করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সে পুর্ব বটুলি গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে বাপ্পা মিয়া (৩২)। এছাড়া বিএসএফের গুলিতে আহত আরেক চোরাকারবারী পালিয়ে গিয়ে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার নাম আব্দুল কালাম। সে একই এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিএসএফ বরাবরে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন ও সীমান্তবাসী সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ৮-১০ জনের একটি বাংলাদেশি গরু চোরাকারবারী দল ভারতীয় গরু আনতে ফুলতলা সীমান্তের পিলার নং-১৮২৩/২৬ এস এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। বিএসএফ ১৬৬ ব্যাটালিয়নের ইয়াকুব নগর ক্যাম্পের টহল দল তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৬ বাংলাদেশী গরু চোরাকারবারী আহত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফিরে আসে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে বিজিবি ফুলতলা বিওপির টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাপ্পা মিয়াকে আটক করে। স্থানীয় সুত্র জানায় গুলিবিদ্ধ আরেক চোরাকারবারী আব্দুল কালাম পালিয়ে গিয়ে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আহত অন্যরা আত্মগোপন করে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট বড়লেখা সদর ইউপির বিওসি কেছরিগুল (উত্তর) গ্রামের সাজ্জাদ আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক আব্দুর রূপ বোবারথল সীমান্ত দিয়ে মহিষ আনতে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ভারতের ফুলকান্দি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় আরো ৬-৭ চোরাকারবারী বিএসএফের গুলিতে আহত হয়।
এর আগে ও পরে কয়েক দফা অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিএসএফের গুলিতে অন্তত ২৫ বাংলাদেশী আহত হন। কিন্তু এর পরেও সঙ্গবদ্ধ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট সীমান্তে চোলাচালান বন্ধ করেনি।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়জুর রহমান এসপিপি, পিএসসি জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিজিবি বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে। বিএসএফের গুলিতে আহত এক ব্যক্তিকে বিজিবি আটক করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। সে চিহ্নিত ভারতীয় গরু চোরাকারবারী। অদ্য গুলিবর্ষণের ঘটনাস্থলে বিজিবি পৌঁছার আগেই হয়তো আহত অন্যরা পালিয়ে গেছে।
]]>৩০ অক্টোবর জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিস্কারের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনফর আলী, পূর্ব-জুড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুল ইসলাম রুয়েল ও গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সবুজ আহমদ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এবং দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী শ্রীকান্ত দাসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনফর আলী। পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল ইসলাম রুয়েল।
নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলার এই তিন নেতাকে দলের সকল পদ-পদবী থেকে বহিস্কার করা হলো।
এর আগে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থী শাহাব উদ্দিন আহমেদ লেমনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সবুজ আহমদকে দলীয় শৃঙ্খলা ও নির্দেশনা ভঙ্গ করায় আওয়ামী যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।
২৮ অক্টোবর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ সাজু ও সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে দলীয় পদপদবী থেকে বহিস্কার করা হয়।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে জুড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
]]>শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী থানার নবনির্মিত ভবনের ফলক উম্মেচন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
পরে থানা প্রাঙ্গনে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্মিত আধুনিক থানা কমপ্লেক্সে ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার রাজনগর ৩ আসনে সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত মহিলা আসন সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ কমিশনার এসএমপি মোঃ নিশারুল আরিফ, মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মমীর নাহিদ আহসান,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক।
সুধী সমাবেশে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন, উপজেলার চেয়ারম্যান পৌরসভার মেয়র সরকারি কর্মকর্তা সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) ও স্থাপত্য অধিদফতরের বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় ৭ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৩ শত ৫০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়তলা বিশিষ্ট চারতলা আধুনিক জুড়ী থানা ভবন।
]]>
এ সময় বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম কাজল, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তারা মিয়া, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দারা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল।

এছাড়াও উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণ হলে বাংলাদেশসহ এ উপজেলা বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করবে। পাশাপাশি লাঠিটিলা বনটি দখলমুক্ত এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। যারা এই সাফারি পার্কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
]]>
জানা যায়, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) কতৃক বাস্তবায়নাধীন গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় কার্বন নির্গমন হ্রাস ও পরিবেশ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট” এর অর্থায়নে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) কতৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প সূত্রে আরো জানা যায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় ৩০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৩৭৩ টি সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। একটি সড়কবাতি থেকে আরেকটি সড়কবাতির দূরত্ব থাকবে ৭৬ মিটার।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় জুড়ী ও বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপনের কাজ জোরে শোরে চলছে। এতে করে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের ড্রাইভারগণ সবচেয়ে বেশি সুফল পাবে। বিশেষ করে এ আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশে থাকা ঘরগুলোও এ প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকায়নের আওতায় এসেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ সকল সচেতন মহল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
এ সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন যানবহন চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, আগে এ সড়কে অন্ধকার থাকায় অনেক সময় আমরা দুর্ঘটনার শিকার হতাম। বর্তমানে এ সড়কে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন করার ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ও আঁকাবাকা এ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝলমলে আলোর ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। মাননীয় পরিবেশমন্ত্রী কে জুড়ীবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শহরের মতো দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়কেও সৌরবাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের শ্লোগান,”শেখ হাসিনার উদ্যোগ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”এখন আর শুধুই শ্লোগান নয়, সরকার এটা বাস্তবায়ন করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি করছে যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সরকার এজন্য সৌরশক্তি-সহ বিভিন্ন ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ ধরনের সড়কে সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে।
]]>