নিহতরা হলেন, এজাহারভুক্ত ২ নং আসামী তোফায়েল আহমেদ (৩৫) ও ৮নং এজহার ভুক্ত আসামী শহীদ মিয়া (৪০)।
র্যাব জানায় শনিবার গভীর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মিতরিঙ্গা চা বাগান এলাকায় কয়েক জন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এ খবরে র্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে গুলি করে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি করলে ২ জন সন্ত্রাসী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি রিভলবার সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর ২ টায় উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট বাজারে নাজমুল হাসান (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী নেতাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর সিলেটের একটি হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যা ৭ টায় নাজমুল হাসানের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের আধিনায়ক বসু দত্ত চাকমা জানান, এ ঘটনায় র্যাবের ৩ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
]]>বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ দায়িত্ব পালন করে ঐ ছাত্রী।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন নাহার পারভীন এক ঘন্টার জন্য ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স এর সাধারণ সদস্য স্কুলছাত্রী মনি রাণী কর’কে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিকী দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
প্রতিবছর এ কার্যক্রমটি সারা বিশ্বে “গার্লস টেকওভার” নামে পরিচিত। এতে প্রাধন পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্বে রয়েছে ‘প্ল্যান ইন্টারনাশনাল’। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-আরডব্লিউডিও। এই কর্মসুচির প্রধান উদ্দেশ্য মেয়েদের সমাজের উচ্চপদস্থ বিভিন্ন পদের দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত ও সাফল্য তুলে ধরতে পারে, সেই আত্মবিশ্বাস তৈরীর সুযোগ করে দেয়া।
এন. সি. টি. এফ এর পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, এন. সি. টি. এফ এর সভাপতি সুবর্ণা রানী কর ও তার দল। পরের ধাপে মনি রাণী করকে কিভাবে উক্ত পদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয় সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এন.সি.টি.এফ কমিটির সভাপতি সুবর্ণা রাণী কর, সহ সভাপতি প্রাণেশ কর, সাধারণ সম্পাদক প্রমি রাণী কর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৃজন কর, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার (মেয়ে) সুমি রানী কর, শিশু সাংবাদিক (ছেলে) বিপুল কর, উপজেলা সেচ্ছাসেবক জয়ন্ত কর। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ওয়াই মুভস প্রকল্প এর প্রকল্প কর্মকর্তা বাবুল কুমার সিংহ।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন নাহার পারভীন বলেন, একসময় এই শিশুরাই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এই ধরনের কর্মসুচীর মাধ্যমে মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী এবং উৎসাহিত হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের প্রতিকী দায়িত্ব পালনকারী স্কুলছাত্রী মনি রাণী কর বলেন, উক্ত কর্মসুচির মাধ্যমে আমি নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে করছি। বাংলাদেশ এর যেকোনো উপজেলা এরকম একটা পদের দায়িত্বে আসলে আমি সার্বক্ষনিক শিশুদের পর্যবেক্ষন করব এবং একটা শিশু তার যে প্রতিভায় দক্ষ তাকে সেটায় মনোযোগ দিতে বলব।
]]>উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয়ভাবে চাষ হয়। এছাড়া হাইব্রিড জাতের রোপা আমন ধান, সুগন্ধি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। শতভাগ লক্ষ্যমাত্র পূরণ হয়েছে। আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই কৃষক তাদের কাঙ্খিত আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে।
জানা যায়, কৃষকদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে উপজেলা কৃষি বিভাগ আমন ধানকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে সচেতনামূলক আলোচনা সভাসহ মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করছেন। এছাড়া মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষণ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের তদারকিসহ নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। জরিপের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে রোগ ও পোকার আক্রমণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস জরিপ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক ময়নুল ইসলাম বলেন, দুই একর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছি। এই মাঠে সবার জমিতে আমন চাষ ভালো হয়েছে। পোকায় আক্রমণ ও রোগে যদি না পায় তাহলে ধান অনেক ভালো হবে। প্রতিদিন ধান ক্ষেতে এসে দেখাশোনা করি।
পতন ঊষার ইউনিয়নের কৃষক শাহীন মিয়া বলেন, আমার ৪ একর জমি আছে। পানির অভাবে আউশধান চাষ করতে পারিনি। আমন মৌসুমে ৪ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ ফসল ফলিয়েছি। ভালো ফলন হবে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বিশ্বজিৎ রায় বলেন, বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের হাইব্রিড ও উফশীতে আগ্রহ বেশি। গেল কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উফশী জাতের আবাদ বেড়েছে। এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। অতিরিক্ত গরমে উপজেলার কিছু জমিতে মাজরা পোকায় আক্রমণ করেছিল বর্তমানে তা কমে এসেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো।
]]>(২৮ জুলাই) বুধবার সকালে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি হত্যাকারী সেই ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, যে পারিবারিক কলহের জেরে এই নিশ্বংস হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। গত মাসের ২২শে জুন থেকে নিখোঁজ হন সুচিত্রা শব্দকর। ৩৬ দিন পর বুধবার সকালে তার মেয়ে সীমা শব্দকর স্বীকারোক্তি দিয়ে বলে, তার বাবার হাতে থাকা কুড়ালের হাতল দিয়ে তার মাকে আঘাত করলে তার মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।মৃত্যুর পর লাশ বাড়ির উঠানে পুঁতে ফেলে তার পাষন্ড বাবা।
এদিকে ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নিহতের স্বামী সুবাস বাউরী নুনু।পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সুহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন সুবাস বাউরী। নিহত সুচিত্রা শব্দকর একি উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইনের সুবাস বাউরী ওরফে নুনুর স্ত্রী।তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
]]>বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকাল ৫টায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমী বেগম উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে।
নিহত সুমি বেগমের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের সরকারবাজার এলাকার এমরান মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুমী বেগমের পেটে ব্যথা দেখা দিলে তার স্বজনরা তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকেল টেস্ট শেষ করে তাকে হাসপাতালের সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডে নিয়ে আসলে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তা দেখে সুমির মা রাহেনা বেগম ও বাবা মন্নান মিয়া ডিউটিরত ডাক্তার ও সিনিয়র নার্সদের কাছে বারবার উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদেরকে রেফার করার জন্য বার বার অনুমতি চাইলেও ডিউটি ডাক্তার ও নার্সরা তাদের কথার কোন কর্ণপাত করেননি।
দুপুর ১২টার দিকে সুমির অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে সিনিয়র নার্স অনিতা সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মণ্ডল তাকে একটি ইনজেকশন পুশ করে চলে যান। এরপর থেকেই সুমির আর কোন নড়াছড়া দেখতে না পেয়ে সুমির মা বাবা বারবার ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও নার্সদের কাছে গেলে তারা বিরক্ত হয়ে বলেন রোগী ঘুমিয়ে আছে, ডিস্টার্ব করবেন না। কিন্তুু বিকেলেও যখন নিহত সুমি বেগমের কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিলনা। তখন আবার তারা নার্সকে জানালে নার্সরা ডাক্তার মুন্না সিনহাকে নিয়ে আসলে তিনি সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সুমির মা রাহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের নার্স এবং ডিউটি ডাক্তারই দায়ী। আমরা তাদের বিচার চাই।
তবে ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মণ্ডল জানান, মৃত রোগীর স্বজনরা আমাদের কাছে রোগীকে রেফারের জন্য কখনো বলেননি। আমাদের চিকিৎসার মধ্যে কোন ত্রুটি নেই। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করতে পারেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন অবহেলা বা কেউ দায়ী থাকেন তবে আগামীকাল (শুক্রবার) তদন্তক্রমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গিয়েছে যে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ বছর পর ৩১ শয্যা থেকে ৮ কোটি ৩২ লক্ষ ৬ হাজার ৭০১ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ৩১ থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মিত ৩ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয় ২০১৫ সালের ২ মে। ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। প্রায় দেড় বছরে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্টান মেসার্স পোদ্দার এন্টারপ্রাইজ এন্ড এসসি। কাজ সমাপ্তের পর ২০১৮ সালের ১০ মার্চ ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি।
এছাড়া পুরাতন ভবনে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোদ্দার এন্টারপ্রাইজ। ভবন উদ্বোধনের তিন বছরের মাথায় ভবনের ২য় ও ৩য় তলার পিলার, ভিমসহ ওয়ালের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক ফাটল দেখা দেয়ার কারনে ডাক্তার, নার্সসহ আগত রোগী ও রোগীর স্বজনরা শংকার মধ্যে সময় পার করছেন। এছাড়া কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে যে সংস্কার কাজ করা হয়েছিলো তাও প্রায় খসে খসে পড়ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার কক্ষ, পরিসংখ্যান কর্মকর্তার কক্ষ, জরুরী বিভাগ ও রোগীদের থাকার ওয়ার্ডের ছাদের প্লাস্টার খসে খসে পড়েতেছে।
সিলেট বিভাগ উচ্চ ভূমিকম্প প্রবন এলাকা হওয়ায় যেকোন সময় ভবন ধসে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে বলে ধারনা করছেন সচেতন মহলের মানুষ জন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা: মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জানান, যে সময় এই ভবনে কাজ হয়েছিল, সে সময় তিনি এখানে কর্মরত ছিলেন না। ভবনের ফাটলের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, নতুন ভবনের ফাটলের বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমি অবগত হয়েছি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ফাটল ও ঝুকিপূর্ণ ওয়াল পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,নতুন ভবনের ফাটলের বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে অবগত করা হয়েছে।তিনি বলেন, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভবণ উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সিলেট স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী) শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নতুন ভবনের কাজটি যখন শুরু হয় তখন তিনি ছিলেন না। উদ্বোধনের ২মাস পূর্বে তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন।ভিম ও কলামে ফাটল হবার কথা নয়। তারপরেও মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করলে ফাটলের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
]]>