তিনি জানান, গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সংলগ্ন সীমান্তে টহল দেয়ার সময় কয়েকজন মানুষের জটলা দেখতে পায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় রাত ১১টার দিকে তাদের ধাওয়া করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে হাতে থাকা কিছু একটা জিনিস ফেলে রাতের আঁধারে ভারতের দিকে পালিয়ে যায় তারা। পরে সীমান্ত পিলার ১৮৫/এস এর কাছে তল্লাশি করে টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি ছোট কাটুন উদ্ধার করে বিজিবি।
গোলাম কিবরিয়া আরো জানান, টেপ মোড়ানো কাটুন খুলে তার ভেতর থেকে ২টি নতুন ওয়াকিটকি সেট, ২টা এন্টিনা এবং ২টি চার্জার জব্দ করা হয়। তবে এই ধরনের পণ্য চোরাচালানের বিষয়ে বিজিবি কখনো শোনেনি এবং দেখেওনি। ওয়াকিটকিগুলোর টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যাচাই বাছাই চলছে এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অধিনায়ক।
]]>
ইসমাইল খান শামীম জানান, ছোটকাল থেকে পরিবারের বড়দের সাথে আম ও আমজাত পণ্য নিয়ে কাজ করি। এরই মধ্যে ২০২২ সালে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম। সেখানেই প্রথম ‘ড্রাই ম্যাংগো’ বিষয়টি দেখে পছন্দ হয়। পরে সেখান থেকে ফিরে এসে নিজের তৈরী করা বাগানে ‘ড্রাই ম্যাংগো’ প্রসেসিংয়ের যন্ত্রাংশ বানিয়ে কার্যক্রম শুরু করি। আর এ্ কাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিদেশি সংস্থা সুইস কন্ট্যাক্ট। এখন তাদের সহযোগীতায় তৈরী করা প্রসেসিং ফ্যাক্টরীতে আশ্বিনা আম দিয়ে দিনে এক মনের বেশি ‘ড্রাই ম্যাংগো’ তৈরি করা হয়।
তিনি আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলিতে আম মৌসুমে প্রায় ৬০ শতাংশ আম গাছ থেকে পেকে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। কোনো কাজে পাওয়া যায় না এসব আম। আর তাই আমরা আমাদের জেলার ঐতিহ্য আম যেগুলো গাছেই প্রায় নষ্টের মতো হয় তা পেড়ে থাইল্যান্ডের ‘ড্রাই ম্যাংগো’ প্রসেসে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করলে স্থানীয় আম চাষীরা লাভবান হতে পারেন।
এ বিষয়ে শামীম খানের কারখানা শ্রমিক আকালু হক বলেন, ‘ড্রাই ম্যাংগো’ প্রজেক্টে প্রথমত গাছ থেকে আম নামানো হয়। এরপর আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে এর চামড়া বা চোকা ছাড়ানো হয়। তারপর পাতলা স্লাইস করে আধুনিক ড্রায়িং মেশিনে দেয়া হয়। এখানে কয়েক ঘণ্টা তাপ ও বায়ু প্রবাহের নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে নেয়া হয় প্রতিটি স্লাইস। পরে এটি খাওয়ার উপযোগী হলে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়।
শিবগঞ্জ সুইস কন্ট্যাক্টের এলএডি কর্মকর্তা আলামিন আলি বলেন, সারা বিশ্বে ‘ড্রাই ম্যাংগো’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমরা বাংলাদেশে এ পণ্যের বিস্তার ঘটাতে চাই। এতে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। লাভবান হবেন চাষি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, এমনিতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের স্বাদ বিশ্বব্যাপি। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আম প্রেমিরা আর এই স্বাদ চাইলেও নিতে পারেননা। যদিও এখন বারোমাসী কিছু আমের প্রচলন আছে। আর তাই বারোমাস এসব পণ্যের বিস্তার ঘটানো গেলে কমদামি আমের দাম বাড়ার পাশাপাশি আম চাষীরা লাভবান হবেন। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধরণ সম্পাদক মানিক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো ইয়াছিন আলী বলেন, আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি স্বর্ণালী ফসল হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। কিন্তু এত বছর এই আম নিয়ে কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এখন জেলায় আমের প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যারা নতুন উদ্যোক্তা তাদের সবধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই ‘ড্রাই ম্যাংগো’র বিস্তার ঘটান গেলে চাঙ্গা হবে জেলার অর্থনীতি। লাভবান হবেন চাষি।
জেলায় একমাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তৈরি হচ্ছে ‘ড্রাই ম্যাংগো’। স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য আশ্বিনা জাতের আমকে আধুনিক প্রক্রিয়ায় রূপ দিয়ে এ ‘ড্রাই ম্যাংগো’ তৈরি করছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা ইসমাইল খান শামীম। যা একদিকে বদলে দিচ্ছে আমের কদর। অন্যদিকে খুলে দিচ্ছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
]]>
এ সময় ডা. মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহিন শওকত এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মো. রফিকুল ইসলাম। কর্মী সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন।
বক্তারা বলেন, জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে যে মা তার ছেলেকে হারিয়েছিলেন, যে বোন তার ভাইকে হারিয়েছিলেন সেই ছেলের, সেই ভাইয়ের রক্তের দাগ না শুকানোর আগেই একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিনা শর্তে ক্ষমা করে ছাত্র জনতার রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশিদার হিসেবে তারা যে দাবী রাখে সেটাও একটা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। আর তাই জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়ার আহŸান জানানো হয় কর্মী সম্মেলন থেকে।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে নিজ দেশে না থেকে পালিয়ে ভারতে থাকার অভ্যাস আওয়ামীলীগের পুরোনো স্বভাব। বাবা শেখ মুজিব ৭১ সালে ভারতে পালিয়েছিল, ঠিক একই পথে মেয়ে হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে আছে। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের কোন সংকটাপন্ন অবস্থাতে দেশ ত্যাগ করেননি। বরং তিনি দেশে থেকে জনগণকে পাশে নিয়ে দেশের উন্নয়নে রাজনীতি করেছেন। দীর্ঘ সময় পলাতক হাসিনা সরকার দেশনেত্রীকে বন্দী করে রাখলেও তার কোন উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেননি। আর তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে অসুস্থাবস্থায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাবার প্রাক্কালে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে দেশবাসীকে ঐক্য থাকতে আহŸান জানিয়েছেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ৭১ পরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সকলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিসেব একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। যার মূল লক্ষ্যই ছিল এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। যা তিনি জীবিত থাকাকালীন করে গেছেন। আর তারই দেখানো পথ অনুসরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দলকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দেশব্যাপি সকল ইউনিটকে সুসংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌরসহ সকল কমিটি গঠনে কর্মী সমাবেশ করা হচ্ছে বলে জানান বক্তারা।
শেষে ডা. মো. আব্দুল মালেককে সভাপতি, মো আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক ও মমিনুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন অতিথিবৃন্দ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহŸায়ক মো. মবিনুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হায়াত উদ দৌলাসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>
এ ব্যাপারে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টায় ব্যাটালিয়নের তেলকুপি বিওপির নায়েক মো. শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকষ টহল দল সীমান্ত মেইন পিলার ১৮০ হতে ৩ শত গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জমিনপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টহল দল মালিকবিহীন ৩১ টি ভারতীয় বিভিন্ন মডেলের ব্যবহৃত চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
চোরাই মোবাইল ফোনগুলো কাষ্টমস এ জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান অধিনায়ক।
]]>বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পরে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণের পর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
অভিযুক্ত টুটুল নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে এবং মৃত সাকিনা (৫৫) একই এলাকার মৃত শফিকুল আলমের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, বুধবার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন সাকিনা। পরে দিন শেষে রাতে খাবার খেয়ে জামাই টুটুলের বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাশুড়ী সাকিনা। এদিকে রাতের কোন এক সময় মানসিক ভারসাম্যহীন জামাই টুটুল শাশুড়ীর ঘরে ঢুকে হাতে থাকা শাবল দিয়ে আঘাত করে শাশুড়ীকে মারাত্মক জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জেগে ওঠার আগেই পালিয়ে যায় টুটুল। পরে এলাকাবাসী ঘরে প্রবেশ করে সাকিনা বেগমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
ওসি কিবরিয়া আরো বলেন, ঘটনা জানার পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আসামি টুটুল দীর্ঘদিন ধরে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে তিন মাস আগে বাড়িতে আসেন এবং এখনো নিয়মিত মানসিক রোগের ঔষধ খাচ্ছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
]]>নিহত ব্যক্তি শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানীবাড়ি চাঁদপুর এলাকার গাবতলা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৮)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ মংলুর সাথে আলমগীরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন জমিতে থাকা আমগাছ কাটতে গেলে বাধা দেন আলমগীর ও তার ভাইয়েরা। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তারা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক আরমান।
]]>