রোববার বোনার পাড়া দলীয় কার্যালয়ে ফ্রি ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, জেলা বিএনপির সদস্য নাজেমুল ইসলাম নয়ন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহম্মেদ তুলিপ, যুগ্ন সম্পাদক মঈন প্রধান লাবু, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ উপজেলা যুবদল আহবায়ক আহম্মেদ কবীর শাহিন প্রমূখ। পরে আপোষহীন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
]]>
রোববার ২৭ অক্টোবর সাঘাটা উপজেলা চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয় ।
সাড়ে ১১ টা থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে রাখেন স্হানীয়রা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো ইসাহাক আলী উপস্থিত জনতার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে আসামী গ্রেফতারে আশ্বাস দিলে মানববন্ধন কর্মসূচি তুলে নেয়া হয়।
কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন, বোনারপাড়া পুজা উদযাপন পরিষদের বোনারপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজিব রায়, নিহতের ভাই সুবাস চন্দ্র রায়, উপজেলা মানবাধিকার সংগঠক মাসুদুর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক মিঠুন প্রসাদ প্রমুখ । এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানব বন্ধনে বক্তরা বলেন , আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বোনারপাড়া হাটের সাবেক ইজারাদার মিলন মিয়া ও সাবেক ইজারাদার রফিকুল ইসলামসহ বেশ কিছু প্রভাবশালী বোনারপাড়া বাজারের সেড ঘর গুলো দখল করে নিয়েছে। এই প্রভাবশালীদের ভয়ে এই বোনারপাড়া বাজারে কাচা-মালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে হাটে আসতে ভয় পায় । এদের হাতে এই বাজারের আসা হাজারো মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি ।
গত ১৬ বছরের তারা আওয়ামী লীগের ত্রাসের রাজত্ব বাস্তবায়ন করতে তারা জেলে সম্প্রদায়ের বিল গুলো দখল করেছেন। তারা বোনারপাড়া ইউনিয়নের তেলিয়ান মৌজায় ছাটকালপানি মাঝিপাড়ার নামে ইজারাকৃত বিল জোরপূর্বক দখল করে নেন এবং ৩০০ টাকার স্টাম্পে সাক্ষর করে জেলেদের থেকে ফাকা চেক নেন। যখন তখন তাদের নির্য াতন করতেন । তারা জোর পূর্বক মাঝিপাড়া মন্দির থেকে মাছ চাষ প্রকল্পে বিদ্যুতের লাইন নেন। এই বিদ্যুতের লাইন দিতে স্থানীয় মন্দিরের সদস্য ও মাছ ব্যবসায়ী শ্রীধাম অসম্মতি জানান। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বোনারপাড়া হাটের সাবেক ইজারাদার মিলন মিয়া তার চার থেকে পাঁচজন সহযোগীকে নিয়ে শ্রী ধামকে মারধর করে ও মাছ বিক্রির ট্রে দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করে। এই হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে এলাকায় শান্তি ফিরেআসবে না।
বক্তরা আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর আন্দোলন দেয়া হবে। ২৪ ঘন্টার মাঝে আমাসী গ্রেফতার করা না হলে আগামী মঙ্গলবার সাঘাটা উপজেলায় হরতাল পালনের ডাক দেন ।
উলেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মীর মাছ চাষ প্রকল্পে মন্দির থেকে বৈদ্যুতিক লাইন নেয়ার বিরোধের জেরে শ্রী ধাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নিহতের ভাই সুবাস চন্দ্র বাদী হয়ে মিলন মিয়া, এরশাদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ , লিটন মিয়া ও তুহিন মিয়ার নাম উলেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে সাঘাটা থানায় মামলা করেন । মামলা নং ১৮
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ে মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
]]>
মাছ ব্যবসায়ী শ্রীধাম চন্দ্র (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মারপিট করে হত্যা করা হযেছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার মাঝিপাড়ায়, শিমুল তাইড় (নয়াপাড়া) গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে মিলন মিয়া পুকুরে মাছ চাষ করতেন। ওই গ্রামের মন্দির থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন মিলন মিয়া,। ১৭ মাসের বকেয়া বিল বাকি পড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।
হিন্দু ধর্মাবলীরা পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করে। আবারো জোরপূর্বক মিলন মিয়া সংযোগ চাইলে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে
বোনার পাড়া বাজারে শ্রীধাম চন্দ্রের মাছের দোকানে মিলন মিয়া মোবাইল ফোনে আরো ৫/৬ জন সহযোগীকে ডেকে এনে শ্রীধাম চন্দ্রকে কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসার পর সুস্থ না হওয়ায়, সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে এ হত্যার প্রতিবাদে মাঝিপাড়ার সহস্রাধিক লোকজন বোনার পাড়া হাকিমের মোড়ে জড়ো হয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ করে।
পরে গাইবান্ধা সেনা বাহিনী ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী ও সাঘাটা থানা পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বস্ত করে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন বিক্ষোভকারীরা ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত সোহেল রানা, গাইবান্ধা সেনাবাহিনী ক্যাম্প সার্জেন্ট আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত সোহেল রানা বলেন, মিলন মিয়া ও এরশাদ সহ ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
]]>
বৃহস্পতিবার উপজেলার বোনার পাড়া ইউনিয়নের দলদলিয়া গ্রামে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ।
আরো বক্তব্য রাখেন, সাঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মনোঞ্জন বর্মন, সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত সোহেল রানা, সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদক, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেছ আলী, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল গফুর, মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী, আব্দুল জলিল তোতা ও আবু বক্কর সিদ্দিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সাঘাটা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন।
]]>
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর মোঃ নুরুন্নবী প্রধান (৬৭)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের সোনাতোলা শাখইল গ্রামের মৃত ইসমাইল প্রধানের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন – সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ (৬০), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল (৪৫), সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি (৫৫), কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌকির হাসান রচি (৩৮), সাবেক কাউন্সিলর শাহিন আকন্দ (৫২), কাইয়ুম মিয়া (৫০), এ.টি.এম. জয়নাল আবেদীন (৫০), মোঃ রাজু মিয়া (৪৫), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মুক্তার হোসেন সাদ্দাম (৩৪), শ্রী গোবিন্দ কুমার রাজভর (৬০), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ বাবুল ইসলাম (২৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হান্নান আজাদ (৫৫), সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সরকারী মোঃ আতিকুর রহমান আতিক (৪২), সোহরাব (৫০), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাহিদুল ইসলাম রকেট (৫৭), নবাব প্রধান (৩৮), মোঃ মামুন সরকার (৩৩), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মিয়া আসাদুজ্জামান হিরু (৫০), সাবেক কাউন্সিলর মাজেদুল ইসলাম (৪৫), শহিদুল ইসলাম কমেট (৫৫), মোঃ নান্নু মিয়া (৪৫), মো: আব্দুস সবুর (৩৮), মোঃ শাহিন (৪০), আল আমিন (২৮), মাজেদুল ইসলাম মাহিন (২৫), রাফসান জানি স্বর্নাফ (৩৬), জাহিদ (৩৫), এনামুল হক (৩৫), সুইট রানা (৩৫), মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬), হাজী মাহাতাফ (৫৫), পায়েল (২৮), আব্দুল মমিন (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৩০), সাবেক কাউন্সিলর ফারুক কবির (৪৮), কামারদহ ইউপি সদস্য মিন্টু শেখ (৫০), সাজু মিয়া ওরফে কানা সাজু (৪১), মোঃ সবুজ (৩৩), মোঃ জহুরুল ইসলাম (৩২), মোঃ খাইরুল ইসলাম মুক্তার (৫০), মোঃ ওয়ারেজ সরকার (৩০), অলিউর রহমান অলি (৩৫), মোঃ রাগেবুল ইসলাম (২৭), হোসাইন আহম্মেদ (৬০), মোঃ শিহাব সরকার রঞ্জন (২৭), মোঃ আব্দুল হাই তালুকদার (৬৫), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ বিপু সরকার (৩৮), আব্দুর রাজ্জাক (২৭), মোঃ আইয়ুব আলী (৫৫), মোঃ রেজাউল করিম (৩৫), মোঃ মিঠু শেখ (৪০), মোঃ মামুন তালুকদার (৩২), মোঃ মিঠুন তালুকদার (২৮)। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, তাঁতিলীগ ও ছাত্রলীগের ৫৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকাল আনুমানিক সোয়া ৫টার দিকে উল্লেখিত নামধারী আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০/১৬০ জন আসামি গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের গরুহাটি থেকে লাঠিসোটা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, ছুরি, ছোড়া, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, বেকি, হাসুয়া, হকিস্টিক, ককটেল, পেট্রোলসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পশ্চিম চারমাথায় অবস্থিত গোলাপবাগ দারুল ফোরকান ট্রাস্ট ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের সামনে এসে ১নং আসামি সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে ৫ থেকে ৯ নং আসামির নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র একত্রিত করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে। এতে উক্ত কার্যালয়ে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল, অসংখ্য বই ও আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হয়। যার মোট আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে ১ থেকে ১০ নং আসামি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করলে সকল আসামি মিলে অফিসের গেইট, স্টিলের দরজা, ৬টি জানালা, ৩০ বান টিন, ৫ জন স্টিলের এঙ্গেল, ৩০ হাজার ইট, ৮টি স্টিলের আলমারি, ৬টি স্টিলের টেবিল, ১৫টি ফ্যান, ১৫০টি চেয়ার, ২টি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার, টিউবওয়েল ও মোটর পাম্প চুরি করে নিয়ে যায়। যার মোট আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
মামলার বাদী মোঃ নুরুন্নবী প্রধান বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তৎকালীন ওসি মামলা নেয়নি। বিষয়টি সাংগঠনিক হওয়ায় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন,এই মামলায় অজ্ঞাতনামা দুইজন রাজু ও মোশারফ হোসেন শিবলু গ্রেফতার হয়েছে,২০১৫ সালে জামায়াতে ইসলামীর অফিসে অগ্নিসংযোগ ও চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ২৭, তারিখঃ ২৩/১০/২০২৪ ইং এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিরা আত্মগোপনে আছেন।
]]>স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ড: মাসুরা বেগমের ২১ অক্টোবর স্বাক্ষরিত এক পত্রের সূত্র জানায়, উপজেলার ১০ নং বোনারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাছিরুল আলম স্বপনের বিরুদ্ধে পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আনলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোরঞ্জন বর্মন অভিযোগের তদন্ত করেন।
তদন্তে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
চেয়ারম্যানের অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউপি সদস্যরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
সহকারী কমিশনার মনোরঞ্জন বর্মন ওই অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে গোপন ভোটের আয়োজন করেন।
এতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৯টি ও বিপক্ষে ৩টি ভোট পড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ফলাফল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করা হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ২১ অক্টোবর বোনারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসাহাক আলীর সাথে কথা বললে, তিনি এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
]]>