রবিবার (১৯ জুন) ভোর সোয়া ৫টায় শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরি রুটের শরীয়তপুর টার্নিংয়ের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মোহাম্মদ খোকন। তার বাড়ি ঝালকাঠিতে।
পুলিশের ভাষ্য, ফেরি বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামালে এ সময় অর্ধ শতাধিক গাড়ি এবং দুই শতাধিক যাত্রী ছিল।
ফেরির যাত্রীরা জানান, পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের মধ্য দিয়ে চলাচল করছিল ফেরি। ভোরে শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দির দিকে আসছিল ফেরি বেগম রোকেয়া। ওই সময় মাঝিরকান্দি ঘাট থেকে শিমুলিয়ায় যাচ্ছিল ফেরি সুফিয়া কামাল। স্রোতের কারণে দুই ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি চালকেরা। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন।
লৌহজং থানার এএসআই শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। লাশ তিন নাম্বার ফেরি ঘাটে নেওয়া হয়েছে। আরও একজন চালক পদ্মায় ছিটকে পরে নিখোঁজ রয়েছেন। প্রচণ্ড বেগে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে ফেরির আঘাত লাগা অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর ফেরি দুটি তার যার গন্তব্যের ঘাটে নোঙ্গর করতে সক্ষম হয়েছে।
বেগম রোকেয়া ফেরির মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস বলেন, নদীতে অনেক স্রোত ছিল। স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরি সুফিয়া কামালের সঙ্গে আমাদের ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের ফেরিতে থাকা ৮-১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন পিকআপ ভ্যানচালক মারা গেছেন। এছাড়া নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন।
]]>সেই সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তাই সবার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। প্রতিদিনi দূর-দূরান্তের হাজার হাজার দর্শনার্থী পদ্মাপাড়ে ভিড় করছেন সেতুটি একনজর দেখার জন্য। স্বপ্নের সেতুর দুই প্রান্তে এখন উৎসবের আমেজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট ও কান্দিপাড়াসহ সেতুর আশপাশের এলাকায় হাজারো মানুষের ভিড়। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকেও অনেকে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় পদ্মা সেতু এলাকা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা নানা বয়সী মানুষ ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে পদ্মা সেতু এলাকা।
ঢাকা থেকে সেতু দেখতে আসা আল-আমিন শেখ বলেন, আমার বাড়ি খুলনায়। ঢাকার সঙ্গে খুলনায় যাতায়াতে এখন আর বেশি সময় লাগবে না। এজন্য হয়তো ঢাকা থেকে এসে খুলনায় বসবাস করতে পারি। বাড়িতে যেতে আমার শিমুলিয়া ফেরিঘাটেই প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এখন আর সেটা করতে হবে না। এখন পদ্মা পাড়ি দিতে হয়তো ১০ মিনিট লাগবে। আমি মনে করি, এটি শুধু সেতু উদ্বোধন না, একটি স্বপ্নের উদ্বোধন।
সাভার থেকে পরিবার নিয়ে আসা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। কবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সেই ২৫ তারিখ আসবে, আমরা ক্ষণ গুনছি।
নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নির্মাণাধীন সেতুর মূল কাঠামো ও নির্ধারিত সংরক্ষিত এলাকায় দর্শার্থীদের প্রবেশের অনুমতি নেই। এ কারণে দূর থেকেই একনজর সেতু দেখার জন্য ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া ভাড়া করা ট্রলার নিয়েও পদ্মা নদীতে ঘুরে সেতু দেখার চেষ্টা করছেন অনেকে।
পাশের দেশ ভারত থেকে আসা নমিতা ঘোষ বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন বাংলাদেশে। তাই আমরা মাঝে মাঝে বেড়াতে আসি বাংলাদেশে। পদ্মা নদীর নাম তো অনেক শুনেছি, আজ স্বপরিবারে নদীর পাশাপাশি সেতুটা দেখলাম। ট্রলারে করে সেতুর কাছাকাছি গিয়ে ঘুরতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। সবাইকে নিয়ে অনেক মজা করেছি।
ট্রলারচালক আমির হোসেন বলেন, ট্রলারে করে পদ্মা সেতু দেখতে আমাদের ঘাটে অনেক লোকজন আসে। আমরা তাদের সতর্কতার সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে সেতুর ২নং পিলার থেকে ২৪নং পিলার পর্যন্ত ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। একটি ট্রলারে আমরা ১২ জন যাত্রী নিয়ে থাকি। ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।
মুন্সীগঞ্জ টুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এই পদ্মা সেতু, যা দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসে। তাদের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় নিয়োজিত রয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ জুন ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল এই সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
]]>রোববার রাতে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জগামী সব লঞ্চ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে রামচন্দ্রপুর ও চাঁদপুরগামী লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলে জানান তিনি।
রোববার দুপুরের লঞ্চ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। এসবের মধ্যে আছে চালকের অদক্ষতা, অসতর্কতা, আকারে ছোট ইত্যাদি।
বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজীব চন্দ্র রায় জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শুধু মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করতে পারবে না।
এ রুটে ২০-২২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে থাকে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চগুলো চলাচল করতে পারবে না।
যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উধর্তন কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
দুপুরে সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ‘এমভি রূপসী-৯’ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল আফসার উদ্দিন’ ডুবে যায়।
এতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে সাঁতরে তীরে ওঠা যাত্রীরা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনও ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ আছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই এটি কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।
]]>আজ সোমবার বিকেলে এলাকাবাসী একজোট হয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে এলাকাবাসী ও বালুর মহালের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীতে গত একমাস যাবত গজারিয়া অংশ এবং মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা-সোনাকান্দা গ্রামের মধ্যবর্তী নদীতে বালু উত্তোলন ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
গতকাল এলাকাবাসী তাদের জমি, ভিটামাটি রক্ষার্থে প্রতিবাদ করতে গেলে বালুমহালের লোকজনের হামলায় রহিম বাদশা (৪২), সোহেল (৩৬), ফাইজুল (২৫), টিপু (২৮) সহ অন্তত ৬ জন আহত হয় বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদকারীদের উপর হামলায় বালুর মহালের লোকজন প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ, ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ও কাল্লা/টেটা নিক্ষেপ করে বলে জানা যায়।
পরে হামলার শিকার গ্রামবাসী নদীর তীরে মানববন্ধন করেন। বালুমহলের লোকজন দিনের বেলা নির্ধারিত স্থানে এবং রাতে অবৈধভাবে গজারিয়া অংশে চড় কাটা হয় বলে মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। তবে বেশকয়েকদিন হলো দিনে রাতে আমাদের চড়, জমি কাটাতে শুরু করেছে তারা। এভাবে কাটতে থাকলে গজারিয়া উপজেলার মানচিত্র থেকে আমাদের আড়ালিয়া মুদ্দারকান্দি এমনকি বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের অনেক অংশ মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে মুটোফোনে জানিয়েছেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে বলে গজারিয়া থানা সূত্র জানায়।
আরো পড়ুনঃ
কুমিল্লার মেঘনায় কাটছে নদী, ভাঙছে তীর, অনিশ্চয়তার পথে কূলের গ্রামবাসী।
বালি উত্তোলনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা, মহাল বন্ধে ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম
]]>প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম।গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর- রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল খন্দকার আশফাকুজ্জামান,গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খাঁন (তোতা),গজারিয়া উপজেলা আ.লীগেরে সভাপতি মো.সোলায়মান দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আ: বাতেন প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে পুূলিশের সকল সদস্য বৃন্দসহ উপজেলার বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম বক্তব্য বলেন, এলাকার বাল্য বিবাহ, মাদক, জুয়া, ইভটিজিংসহ যে কোন অপরাধ বন্ধে পুলিশকে সহায়তা করা এবং পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সার্বিক সহযোগীতার নির্দেশ প্রদান করেন।
]]>