
উক্ত অনুষ্ঠান উপস্থিত বক্তরা এত সুন্দর আয়োজন করায় প্রধান অতিথি আনিসুর রহমান তালুকদারকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে দলমত নির্বিশেষে গনমানুষের নেতা বলে আখ্যায়িত করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে হিন্দু সম্প্রাায়ের মাঝে ২ শতাধিক পাঞ্জাবি বিতরন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর-২০২২) সকাল ১০টায় সময় ডাসার বিএনপির কার্যালয়ে নবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাবু পেমেন্দ্র নাথ সরকার এর সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ মল্লিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন; ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহাবুব হোসেন মুন্সি, ডাসার বিএনপির সভাপতি মাস্টার মোঃ আলাউদ্দিন তালুকদার, কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ সালাম খান, কালকিনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, কালকিনি পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন, মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ফারুক বেপারী, বিএনপি নেতা মৃনাল কান্তি, হরশিত মল্লিক, উজ্জ্বল হালদার, মিহির কান্তি বিচশ্বাস, কালকিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম বেপারী, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শিকদার মামুন প্রমুখ।
]]>উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি।
এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না নিলে আমরা উন্নত দেশ পেতাম না।
বুধবার সকালে শিবচর পৌর এলাকায়, ডিআইজি সুপার মার্কেটের দোতলায় ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধনকালে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন এমপি এই কথা বলেন।
ইসলামি ব্যাংকের সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা সভাপতিত্বে; আরো উপস্থিত ছিলেন-মাদারীপুর জেলা পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মোল্লা, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ সেলিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্য মোঃ ইলিয়াস পাশাসহ; স্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা নেতাকর্মীরা।
]]>
মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির কার্যালয়ে; মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির সহ-সভাপতি ও জেলা প্রতিনিধি মীর ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়।
আজকের দর্পণ পত্রিকার ৮ম বর্ষপূর্তিতে কেক কেটে উদযাপিত হয়। পরে এক আলোচনা শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; মাদারীপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক মোঃ মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া (তুষার)। তিনি বলেন, দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মীর ইমরান ও আজকের দর্পণ পত্রিকার মঙ্গলময় প্রত্যাশা কামনা করছি। সংবাদপত্রের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে। সমাজের চোখকে খুলে দেয়, দুর্নীতি ও নানা অপকর্ম তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যম; তাই সকল সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।
সংবাদ মাধ্যম একটি রাষ্ট্রের হাতিয়ার বলে প্রধান অতিথি আরো বলেন দেশের ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে; সমাজের চোখকে প্রকাশিত করবে এ কামনা করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন-মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির সভাপতি ও মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক আমাদের সময় এর মোঃ শফিক স্বপন, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির- সাংগঠনিক সম্পাদক-মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ দৈনিক গণমুক্তি মোহাম্মাদ মামুন, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির কৌষাধ্যক্ষ-দৈনিক দেশ প্রতিদিন মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ তাজুল ইসলাম মাদবর, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন-জেলা প্রতিনিধি মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির কার্যকারী সদস্য-দৈনিক প্রথম বেলা-জেলা প্রতিনিধি মোঃ কামাল হোসেন, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির কার্যকারী সদস্য-প্রিন্স মাহমুদ সবুজ, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির কার্যকারী সদস্য মোঃ এমদাদ হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আল মামুন, দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ জেলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুম হাওলাদার, দৈনিক আজকালের খবর এর জেলা প্রতিনিধি মোঃ আরিফুর রহমান, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির কার্যকারী সদস্য মোঃ আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
]]>
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, যারা সমালোচনা করে বিভিন্ন কথা বলে তাদের বিষয় আমাদের জানা আছে। ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচন ও অন্য সব সরকারের আমলে সর্ব কর্মকান্ড আমরা দেখেছি। বাংলাদেশের শেখ হাসিনার ছাড়া বিকল্প কেউ নেই, করোনার সময় শ্রম দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছেন ও নতুন প্রজন্মের কর্মদক্ষতা এগিয়ে নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আগামী দিনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্ব দেবে শেখ হাসিনা। তিনি মহামারী করোনার সময় দুইবার বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাজেট পাস করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা; তার কোন বিকল্প নাই। তার সাথে কেউ প্রতিযোগিতা করার মত বাংলাদেশে কেউ নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আসবে; আর শিবচরের অসমাপ্ত কাজগুলো আমরা সমাপ্ত করবো।
এ সময় শিবচর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন-মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম, শিবচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বি এম আতাউর রহমান আতাহার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায়, উপজেলা মৎস্য ও প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস ইবনে রহিম, বীর, মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শাজাহান মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া, সাবেক পৌর প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন খানসহ স্থানীয় ও দলীয় নেতা কর্মীরা।
]]>স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম আর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম তো একই সুতোয় গাঁথা।
আর তার ডাকে সাড়া দিয়ে তদকালিন পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার বঞ্চিত, শোষিত, নির্যাতিত অন্তত সাত কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য যারা আত্মসুখ, ঘর-সংসার, পরিবার-পরিজন, পরিত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়েছিলেন তারা আমাদের পরম বন্ধু, আত্মীয়, কল্যাণমিত্র, হিতৈষী ও পরম আপনজন।
শুধু তাই নয় মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য যে যে ভাবে অংশ নিয়েছেন তারা সকলেই আমাদের দেশের দেশপ্রেমী বীর সন্তান। তাদের প্রতি দায় কখনো শেষ হবার নয়। রাষ্ট্র, সরকার এবং জনগণ সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে চিরদিনের মতো দায়বদ্ধ।
যারা একাত্তর ধারণ করে পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠেছে ও নিজেদের ভেতরে এক ধরনের আত্মগ্লানি আর হাহাকার তৈরি হয়। যখন শুনি, দেখি যে কোনও মুক্তিযোদ্ধা চরম অবহেলা-অমর্যাদায়, অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
স্বাধীনতা পরের ৫০ বছরেও কোন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রের দপ্তরে দপ্তরে আকুতি-মিনতি জানাতে হয়, ধর্ণা দিতে হয়-তখন জাতির কাছে এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
যদি তার এই আকুতি-মিনতি আর আবেদনকে মূল্যায়ন করা হতো, সম্মান করা হতো-তাহলে হয়তো কিছুটা গ্লানিবোধ কমতো বাঙালি জাতির।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ কেউ স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় জীবনের অবশিষ্ট দিনগুলোও কাটিয়ে দিয়ে এক বুক কষ্ট আর অভিমান নিয়ে চিরবিদায় নিচ্ছেন।
তেমনি এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মাদারীপুর জেলা সদরের ছিলারচর ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বীর- মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লার পরিবার চরম অবহেলিত।
বাংলাদেশে ৭১সালের যুদ্ধের সময় ভারতীয় তালিকায় তার নাম থাকা সত্ত্বেও তার পরিবার পরিজন সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা থেকে এখনো বঞ্ছিত। ১৯৮০ সালে নির্মম ভাবে খুন হন বীর-মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লা। অইসময় তিনি স্ত্রী ও নাবালক এক পুত্র সন্তান রেখে যান। তারপর অনেক কষ্টের মাঝেই দিন কাটে এই পরিবারটির।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকলেও বিন্দু পরিমান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বীর-মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লার পরিবার।
এলাকাবাসী ও ঐ অঞ্চলের একাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাতৃভূমি স্বাধীনতার লক্ষে বীর-মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম মোল্লা প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান ভারতের হাকিমপুর ভাদিয়ালি মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে।
সেখানে অল্প সময়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে। তিনি সামনের সারির একজন সাহসী ও দক্ষ যোদ্ধা ছিলেন বলে জানান তার সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ কারী একাধিক বীর-মুক্তিযোদ্ধারা।
ছিলারচর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন চৌকদার বলেন, বীর-মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লা একজন বিচক্ষণ ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি ও রুস্তম মোল্লা এক সাথে ট্রেনিং করেছি এবং ৮নং সেক্টরের অধীনে অনেক দিন যুদ্ধও করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম মোল্লার হাতে অনেক পাক বাহিনী নিহত হয়েছে।
এক পর্যায় আমাকে অন্য ক্যাম্পে পাঠানো হলে তখন আমি আমার ব্যাডিংপত্র রুস্তম মোল্লার নিকট রেখে যাই। তার মাস খানেক পরে দেশ স্বাধীন হয়। এরপর যশোর ক্যান্টমেন্টে অস্ত্র জমা দিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন রুস্তম মোল্লাসহ মাদারীপুরের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ।
তারপর হঠাৎ করে একদিন ব্যাডিংপত্র নিয়ে রুস্তম মোল্লা হাজির হন আমাদের বাড়িতে। এসময় আমাদের বাড়িতে এক কান্নার রোল পড়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর দিয়ে এতো ঝড়ঝাপটা বয়ে গেলেও রুস্তম মোল্লা আমার ব্যাডিংপত্র ফেলে আসেননি।
ঐ বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, ভারতের হাকিমপুর ভাদিয়ালি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে ৮নং সেক্টরের অধীনে যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় তারা যুদ্ধও করেছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে রুস্তম মোল্লার সাহস ও বিভিন্ন রকম কৌশলে প্রায় প্রতিটি সংঘর্ষে পাক বাহিনীকে পরাজিত করতে সহজ হয়েছি।
তাই রুস্তম মোল্লার প্রতি কমান্ডারসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ আস্থা ছিল।
বীর-মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লার পরিবার সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে কেন বঞ্চিত এমন প্রশ্ন করা হলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন চৌকিদার বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে প্রমাণ হিসেবে যেসব প্রমাণাদি প্রয়োজন হয় তার সবকিছুই রুস্তম মোল্লার আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ১৯৮০ সালের দিকে বীর-মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লা নিজ বাড়িতে সর্বহারা বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হন।
মৃত রুস্তম মোল্লার ৪/৫ বছরের এক মাত্র ছেলে ইলিয়াছ মোল্লাকে নিয়ে তার স্ত্রী এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে তারা এলাকায় কারো সাথে তেমন যোগাযোগ করতেন না। মাঝে মধ্যে রুস্তম মোল্লার মা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আসা বিভিন্ন অনুদানের একটি অংশ আমরা তার হাতে দিতাম। কিন্তু তিনিও প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে মারা যান।
এদিকে ২০১৭ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করলে তখন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বীর-মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুস্তম মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার আবেদন করা হয়নি। তাই রুস্তম মোল্লার বিষয়টি একটু জটিল হয়ে পড়ে। বর্তমানে মৃত রুস্তম মোল্লার ছেলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম মোল্লার বিষয়টি সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহাজান খান এমপিকে অবগত করা হয়েছে।
]]>এদিকে মাদারীপুর জেলা বিএনপির সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে; রাত ১২-০১ মিনিটে, মাদারীপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নিজ কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন নেতাকর্মীরা।
১লা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে; মাদারীপুর জেলা বিএনপি সকল অঙ্গসংগঠনসহ শিবচর, কালকিনি, রাজৈর, ডাসার উপজেলায় এক যোগে দলের নিজ নিজ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদারীপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্নাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয় উপজেলাগুলোতে।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় পুলিশের হামলায়; গুরতর আহত হয় ২০ জন। তবে মাদারীপুরের অন্য উপজেলাগুলোতে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
]]>