মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন এবং রুহুল আমিন ফরাজী পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা করেছেন। এ মামলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকেই আটক করে রাতে থানায় রাখা হয়। বুধবার সকালে তাদের নারায়ণগঞ্জ কোর্টে চালান করে দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচনে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও তারাব পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ করতে তার কর্মী সমর্থকরা বের হন। গণসংযোগকারীরা নোয়াপাড়া ইসলামিয়া মহিলা আলীম মাদরাসা এলাকায় পৌঁছালে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী রুহুল আমিন মিয়ার কর্মী সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গণসংযোগে বাধা প্রদান করে।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে রুহুল আমিন মিয়ার চাচা শ্বশুরের মালিকানাধীন পার্শ্ববর্তী আবির টেক্সটাইলে মিলের শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আশপাশের এলাকাতেও তাণ্ডব চালায়।
এ সময় একটি টিনসেড ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে টেক্সটাইল শ্রমিক মুজিবুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ‘গ’ সার্কেল মাহিন ফরাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও তারাব পৌর নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মতিয়ুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, তার পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুহুল আমিনের সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুহুল আমিন মিয়া বলেন, আমার নির্বাচনী গণসংযোগে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনী মাঠে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় তারা এ হামলা চালিয়েছে।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যারা এ অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>কমিটিতে মোঃ আলমগীর হোসেনকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন মোঃ নাজমুল খন্দকার জয়।
এছাড়াও, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আছেন প্রফেসর মোঃ শামিম আলম, সহ-সভাপতি পদে রয়েছেনঃ মোঃ রবিন প্রধান, মোঃ ফরহাদ হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ শাহিন ভূঁইয়া, মোঃ দিলবর রহমান, মোঃ রাজিব আহম্মেদ।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকঃ মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ রবিন মিয়া, মোঃ মাসুদ পাঠান, মোঃ জাহিদুল খন্দকার।
সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মোঃ রাশেল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মোঃ আলী হোসেন, মোঃ মেহেদী হাসান সৈকত, মোঃ সোহেল মিয়া।
মোঃ রাহাত আযম বাধন দপ্তর সম্পাদক, মোঃ প্লাবন হোসেন প্রচার সম্পাদক, মোঃ আক্তার হোসেন অর্থ সম্পাদক, মোঃ অন্তর হসেন ত্রাণ সম্পাদক, মোঃ আশরাফুল ইসলাম লিপু ক্রীড়া সম্পাদক, মোঃ ফরহাদ হোসেন আইন বিষায়ক সম্পাদক, মোঃ আব্দুল্লাহ নাহিদ সাংষ্কৃতিক সম্পাদক, মোঃ খোরসেদ আলম ধর্ম সম্পাদক।
কার্যকরী সদস্যদের মধ্যে রয়েছেনঃ মোঃ নাঈম হোসেন, মোঃ রুবেল খন্দকার, মোঃ বাবু মিয়া, মোঃ সজিব আহম্মেদ, মোঃ জুয়েল মিয়া, মোঃ বুলবুল হোসেন।
অনুমোদিত নতুন কমিটিতে রাখায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ রবিন প্রধান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পাঠান। তারা রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামিলীগের সকল অংগসংগঠনের সাথে পারষ্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামিলীগকে আরোও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
]]>