শনিবার (২৫ জুন) বিকাল তিন ঘটিকার সময় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আলীকদম উপজেলা শাখার আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল ও র্যালি বের করা হয়। আনন্দ মিছিল ও র্যালিটি বাজারের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা,ব্যানার, ম্রো বাঁশি নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনী আলোচনা সভায় আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন এর সভাপতিত্বে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়ি মং মার্মা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন বিএসসি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফোগ্য মার্মা, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাতুল বড়ুয়া, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ মংচিং থোয়াই মার্মা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ শফিউল আলম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শুভ রঞ্জন বড়ুয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
]]>শুক্রবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে বিকাল ৩টায় কানা মেম্বার আর্মি ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ত্রাণ ও নগদ আর্থিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনঞ্জুরুল আহসান পি.এস.সি।
এসময় তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে ঘর বাড়ি হারিয়েছে কাইরি পাড়ার কয়েকটি পরিবার, তারা খুব মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই সংকট রোধকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, নগদ টাকা বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং উন্নয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে। এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সকাল ১১টায় আলীকদমের ২ নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কাইরি পাড়ায় আগুন লেগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৫টি পরিবার সম্পুর্ন নিঃস্ব হয়ে যায়। রান্না ঘরের লাকড়ির চুলা থেকে লাগা আগুনে সদ্য জুমচাষ থেকে পাওয়া প্রায় আড়াইশ মন ধান, ৫ ভরি স্বর্ন এবং প্রায় ৫০ ভরি রুপা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
]]>বুধবার (১৫ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে আগুন লেগে সোনাইছড়ি কাইরি ম্রো পাড়ায় ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাড়াবাসির চেষ্টায় দুই ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, কাইরি ম্রো পাড়ার বাসিন্দা মেনঙ্গী ম্রো, লাউলি ম্রো, মেনরুম ম্রো, রুইপং ম্রো, লোওয়ই ম্রো।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলেমন ম্রো বলেন, রান্নাঘরের লাকড়ির চুলায় পানি গরম করতে দিয়ে মেনরুম পরিবার বাইরে কাজ করছিল। কোন এক সময় লাকড়ি থেকে ঘরের বাঁশের বেড়ায় আগুন লেগে পাঁচটি ঘরের সবকিছু পুড়ে যায়।
মেনরুম ম্রো ও রুইপং ম্রো বলেন, জুমের সদ্য ধান আগুনে পুড়ে গেছে। প্রায় আড়াইশ মন ধান ছিল সব পুড়ে গেছে। সাথে পাঁচ ভরি সোনা ও ৫০ ভরি রুপা আগুনে পুড়ে গেছে। তারা আরও বলেন, গায়ের কাপড় ছাড়া আর কিছুই আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে পারিনি। ধারদেনা করে জুমে ধান চাষ করেছি। এই দেনা পরিশোধ করব কিভাবে..?
আগুন লাগার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। এসময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ কেজি চাল, ৫টি পরিবারকে ১৫টি মশারী ও ১৫টি কম্বলসহ তেল, ডাল, খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি পরিবার তাদের সবকিছু হারিয়েছে।আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করেছি। পরবর্তীতে আরও সহায়তা করা হবে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মেহরুবা ইসলাম জানান, সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৫ পরিবারের।
]]>সোমবার(১৩ জুন) বিকাল সাড়ে চারটায় আলীকদম শৈলকুঠি রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে, নয়াপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল আলম ও তার দুই ভাই জসিম উদ্দিন ও ফরহাদুল ইসলাম, নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেন ।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুল আলম বলেন, বর্তমান সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনের বাবা সিদ্দিক আহমেদের কাছ থেকে ১৯৮৭ সালে, আমার বাবা দেশীয় দলিল মূলে এক একর জায়গা ক্রয় করেন। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করার আগে সিদ্দিক আহমেদ মারা যান। পরে তার ওয়ারিশগণ না দাবি পত্রে স্বাক্ষর করেন। তখন থেকে আমার পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে উক্ত জায়গা ভোগদখলে আছি। কিন্তু চেয়ারম্যার ও তার পরিবার আমাদের উক্ত জমি যেকোনো সময় জোর করে দখল ও নানা হয়রানির করার প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করছেন।
তিনি আরও বলেন, নাছির উদ্দিন নিজের ক্ষমতা ও দাপটে আমার মত বর্গাচাষীকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, আমাদের ভোগ দখলীয় জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করার পায়তারা করছেন। দখলের বিষয়টি জানতে পেয়ে আদালতে শরণাপন্ন হলে, আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারা জারী করেন। কিন্তু নাছির উদ্দিন ও তার পরিবার আদালতের আদেশ অমান্য করে জায়গায় দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান আদালতের হাজিরা দিতে এসে আদালত প্রাঙ্গণে মামলা প্রত্যাহার করতে হুমকি দেন। মামলা প্রত্যাহার না হলে আমাকে বিভিন্ন সময় মামলায় জড়িয়ে, দেওলিয়া করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নানাভাবে নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যানের ক্ষমতার কাছে বলি হচ্ছি। চেয়ারম্যানের দলীয় ক্ষমতা ও হুমকির কারণে নিজের নিরাপত্তা ও জমি হারানোর ভয়ে আছি।
ফরিদুল আলমকে বিভিন্ন হয়রানি ও হুমকি বিষয়ে আলীকদম থানার পরিদর্শক (ওসি) নাছির উদ্দিন সরকার জানান, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>আজ শুক্রবার (১০ জুন) পবিত্র জুমার নামাজের পরে সারাদেশের ন্যায় আলীকদম উপজেলার সকল মসজিদে একযোগে এ মানববন্ধন পালিত হয়। আলীকদম উপজেলা মসজিদের খতিব এ কে এম আইয়ুব খানের নেতৃত্বে উপজেলা জামে মসজিদের সম্মুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শত মুসল্লির উপস্থিতিতে কামরুল হাসান টিপু, নুরুল আলম ও আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতের প্রতি নিন্দা জানানোর দাবী জানান। এসময় বক্তারা নুপুর শর্মা ও নিবীন জিন্দালের ফাঁসীর দাবীসহ ভারতীয় সকল প্রকার পণ্য বর্জনের ঘোষনা দেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও বিবি আয়েশা (রাঃ)কে নিয়ে নুপুর শর্মা ও নিবীন জিন্দালের করা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তারা ক্ষমা চাইলেও সারা বিশ্বে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেন।
]]>মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে উপজেলা অফির্সাস ক্লাব সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপি এ কর্মশালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জনাব মেহরুবা ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীকদম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ লুৎফুর রহমান, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা, আলীকদম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বিএসসি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার, ১নং আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বিএ, ২নং চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ৩নং নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন, ৪নং কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান কাতপুং ম্রো সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি, সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ-“নারীর ক্ষমতায়ন, আশ্রয়ন, শিক্ষা সহায়তা, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ, পরিবেশে সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সবার জন্য বিদ্যুৎ” এই প্রকল্পগুলোর আলোকে বিচ্ছেদ বিশ্লেষণ করা হয়।
]]>