তিনি আরও বলেন, এবার আমরা পুলিশের দায়িত্বের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়িয়েছি। এই উপজেলায় ৪২ টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় পূজামণ্ডপ আছে ১০টি।
যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে এবং পূজারীরা যাতে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিটি মণ্ডপে গিয়ে পূজা উৎসব ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনা করতে পারে সে বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত সার্বিক ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া পূ্জার আগাম নিরাপত্তাজনিত স্বার্থে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের শেষাংশে পৌরসভার সাহাপারা শ্রী শ্রী জিওর আখরা মন্দির পরিদর্শনে যান মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী। এসময় তিনি স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এছাড়া তিনি মণ্ডপে অদূরে একটি প্রতিমা তৈরীর কারাখানা পরিদর্শন করেন।এবং মৃৎ শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও দাউদকান্দি পৌর জাসাসের সদস্য সচিব প্রমোদ সরকার মধু জানান,’ দাউদকান্দি পৌরসভায় ১০ টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। তন্মোধ্য সাহাপারা শ্রী শ্রী জিওর আখড়ায় রয়েছে বড় পূজামণ্ডপ। এখানে বিপুল সংখ্যক পূজার্থীর আগমন ঘটে। আমরা আশাকরি এবার আগের তুলনায় আরও নিরাপদ অবস্থানে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে পারবে।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সঙ্গে ছিলেন মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুল আলম, এসআই সালাউদ্দিন আহম্মেদ, পৌর যুববিভাগের সভাপতি রেজাউল হক সরকার ও সেক্রেটারি সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম রুবেল।
উল্লেখ্য, এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে চলতি মাসের ২৮ তারিখে।
]]>হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর ; এ মন্ত্র উচ্চারণ করে পাপ মোচনের আশায় পূণ্যার্থীরা আদি ব্রহ্মপুত্র নদ ও শাখা নদের স্নানে অংশ নেন।
স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান-দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আমপাতা, কলা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদের জলে তর্পণ করছেন তারা। সকালে লগ্ন শুরুর পরপরই স্নানার্থীদের ঢল নামে ব্রহ্মপুত্র নদে। ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজ অনুযায়ী স্নানে অংশ নেন তারা। এসময় ব্রহ্মপুত্র নদের আশেপাশে পুলিশ নিরাপত্তা পালন করে।
এ পুণ্যস্নানে গৌরীপুর উপজেলা ছাড়াও দূর্গাপুর কেন্দুয়া, পূর্বধলা, শ্যামগঞ্জসহ নিকটবর্তী উপজেলা থেকে আগত সনাতন সম্প্রদায়ের প্রায় কয়েক হাজার পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ব্রহ্মপুত্রের তীরে সনাতনধর্মের পুণ্যার্থী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরদের এক মহামিলন মেলা শুরু হয়। অনেক স্নানার্থী জানান, এবার অষ্টমীস্নান করতে আসা লোকের সংখ্যা অনেক কম।

দূর্গাপুর থেকে আসা সুব্রত চক্রবর্তী (৫৭) জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে পাপ মোচন হয়, ব্রহ্মার কৃপা লাভ করা যায়। তাই আমি প্রতি বছর স্নানোৎসবে আসি। আমি একা আসিনি প্রতিবেশীদের নিয়ে স্বপরিবারে এসেছি। কিন্তু নদীতে জল কম। যেটুকু আছে ঘোলা জল, তারপরেও স্নান করে পূণ্য হলো মনে করি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অষ্টমীস্নান উপলক্ষে এলাকায় বসেছে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীমেলা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের মোয়া, মুড়ি-মুড়কি, ঝুড়ি, গজা, দই-চিড়া, চিনি-গুড়ের তৈরি হাতি-ঘোড়া ও মাছ আকৃতির সাঁঝ, জিলাপি ও বিভিন্ন স্বাদের খাবারসহ শিশুদের খেলনা, গৃহস্থালি দা-বটি, তৈজসপত্রের দোকান বসে।
প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, ঋষিমণি পরশুরাম নামে সত্যযুগে জন্ম গ্রহণের পর কুঠার দিয়ে তার মাকে হত্যা করেছিলেন। এ সময় অভিশাপে তার হাতে কুঠার লেগে থাকে। তিনি অনেক সাধনার পর অলৌকিকভাবে দৈববাণী পেয়ে যান। এর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে সমস্ত জীবনের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই তিনি কালক্ষেপণ না করে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করেন। এ সময় তার হাতে লেগে থাকা অভিশপ্ত কুঠার ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে পড়ে যায়।
এ কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যুগ যুগ ধরে এ বিশ্বাস থেকে কুলনন্দন ব্রহ্মারপূত্র ব্রহ্মপুত্র নদে প্রতিবছর পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে পুণ্যস্নান করে থাকেন।
]]>জানা যায়, লক্ষীপাশাস্থ শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালিমাতা মন্দিরে পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, মায়ের বিশেষ পূজা ও ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয়।
লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক মিঠুন মৈত্র মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মিলু শরীফ, মন্দিরের সাধারন সম্পাদক শিব প্রসাদ ভট্টাচার্য্য, সহসম্পাদক রুপক মুখার্জী, সহ সম্পাদক কিশোর রায়, কোষাধ্যক্ষ তপন বিশ্বাস, সাবেক পৌর কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা বিউটি, বিএনপি নেতা সাখায়াত বিশ্বাস, মোঃ ওহিদ, শ্রাবণ মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী পরিচালক ইকবাল হাসান শিমুল, সমাজকর্মী আশিষ দত্ত, মোঃ সাহেব আলী প্রমুখ।
পূজা উপলক্ষে মন্দির চত্বরে মেলা বসে। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মেলা উপভোগ করেন।
]]>শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের পুরোহিতপাড়ার গোবিন্দবাড়ীতে অবস্থিত মন্দির প্রাঙ্গণে এই অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অভিষেক অনুষ্ঠানে সেবায়েত কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার তপনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সাধারণ সম্পাদক সমীরণ দেবনাথ।
রামকৃষ্ণ মজুমদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা সুপ্রীয় ধর বাচ্চু, সলিল কুমার দাস, কমল সরকার, অমলেন্দু মজুমদার, নিখিল চন্দ্র সরকার, সলিল কুমার দাস, নারায়ণ সরকার, সুজিত কুমার দাস, অমল চন্দ্র দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রতন সরকার, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার মন্ডল।
এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে ২৫ জন উপদেষ্টা সদস্য ও ৮০ জন সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সেবায়েত কমিটি গঠন করা হয়।
১০৫ সদস্যবিশিষ্ঠ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিপ্লব কুমার সরকার, সহ-সভাপতি লিটন ভৌমিক, সুজিত দে, বিপ্লব কুমার সেন, উজ্জ্বল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সমীরণ দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত দাস, সুদীপ্ত দাস দোয়েল, কোষাধ্যক্ষ পীযুষ কান্তি রায় গণেশ।
শ্রী শ্রী শ্রী রাজ রাজেশ্বরী মহাদেবী বোকাইনগর কালীবাড়ী মন্দিরের সেবায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জানান, মন্দিরটি বেশ পুরোনো। মন্দিরটি ১৭৮৫ সালে বোকাইনগরের কালীবাড়ীতে স্থাপিত হলেও প্রতিষ্ঠাতার নাম জানা যায়নি। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে তৎকালীন এমসিএ হাতেম আলী মিয়া, গৌরীপুর এস্টেটের ওভারসিয়ার অমল ধরের সহযোগিতায় স্থানীয় ননী গোপাল দত্ত এবং রেখন চক্রবর্তীর উদ্যোগে মন্দিরটি পুরোহিতপাড়ার গোবিন্দবাড়ীতে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
মন্দির কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার তপন মন্দিরটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
]]>
জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় মন্দির চত্বরে শিশু সহ সকল শ্রেনীর মানুষের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক সাবেক ইউপি সদস্য গোপাল দত্ত, লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রাজিয়া সুলতানা বিউটি, মন্দিরের সভাপতি মাধব কুমার দে, সাধারন সম্পাদক জগন্নাথ দাস, সমাজসেবক বাপ্পী সরকার, মোঃ ধীমন, সোহেল, অরুপ সরকার।
বিজয়া দশমীতে পুরস্কার বিতরন শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। সমাজসেবক গোপাল দত্ত জানান, এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক প্যানেল মেয়র রাজিয়া সুলতানা বিউটি বলেন, লক্ষীপাশা, রামপুর, কচুবাড়িয়া গ্রামে স্বতস্ফুতভাবে সকল শ্রেনীর মানুষের অংশ গ্রহনে পূজা উদযাপন করা হয়েছে।
]]>রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সিলেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। মহানগরের চাঁদনী-ঘাটে একে একে প্রতিমা নিয়ে জরো হচ্ছেন ভক্তরা। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশের বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত ইউনিটও নিরাপত্তার দায়ত্বে রয়েছে।
এর আগে, দশমীর দিনে মন্ডপে মন্ডপে দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দেয়ার মাধ্যমে সিঁদুর খেলায় মাতেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। ভক্তরা জানান, দেবীদূর্গার কাছে বিশ্বের সকল অশুভ শক্তির পরাজয় এবং সবার জীবনে শান্তির প্রার্থনা করেছেন তারা।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
এবছর সিলেট মহানগর ও জেলায় ৫৯৩টি মন্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর এবং জেলা শাখা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় মোট ৪৪০টি মন্ডপে দুর্গা পূজার হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ৪০৮টি ও পারিবারিক ৩২টি। আর সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৫৩টি মন্ডপে দুর্গা পূজার হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৬টি ও পারিবারিক ১৭টি।
]]>