এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপদ-আপদ পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার কুদরতের নিদর্শন। ভূমিকম্প তার এ নিদর্শনসমূহের অন্যতম।
মানুষ যখন আল্লাহপ্রদত্ত এসব শাস্তির সম্মুখীন হয়, তখন আল্লাহর কুদরতের সামনে তার অসহায়ত্ব স্মরণ করে ও মেনে নিয়ে তার কাছে বিনয়াবনত চিত্তে এসব দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দোয়া করতে হয়।
আল্লাহ তায়ালা সূরা আনআমে বলেন- আপনার আগেও তো আমি বহু জাতির কাছে রাসূল পাঠিয়েছি; এরপর তাদের দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষ, দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন করেছি, যেন তারা বিনম্র-নত হয়। (আয়াত:৪২)
যখন আমার আজাব তাদের ওপর পৌঁছল তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের হৃদয়গুলো কঠিন হয়ে গেল। তারা যা (অবাধ্যতা) করে যাচ্ছিল শয়তান তা তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করে দেখিয়েছিল। (আয়াত:৪৩)
অতঃপর তাদের যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা ভুলে গেল। তখন আমি তাদের জন্য সব কিছুর দরজা খুলে দিলাম। তারা যখন ওই সব পেয়ে অহংকারী হয়ে পড়ল তখন অকস্মাৎ তাদের পাকড়াও করলাম; ফলে সহসাই তারা গভীর দুঃসহ-হতাশাগ্রস্ত হলো। (আয়াত:৪৪)
তাই ফুকাহায়ে কেরাম ভূমিকম্পের সময় বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশ্রয় চাইতে বলেছেন। অনেকে এ সময় দান-সদকা করার কথাও বলেছেন। কেননা হাদিসে এসেছে- দান-সদকা বিপদআপদ দূর করে। (বুখারি)
তাছাড়া অন্যের প্রতি সদয় হলে আল্লাহ তায়ালা ও উক্ত ব্যক্তির প্রতি সদয় হন। রাসূল সা. বলেছেন- যে ব্যক্তি দুনিয়াবাসীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করে, আসমান ওয়ালা (আল্লাহ তায়ালা) তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন। তিরমিযি।
তবে ভূমিকম্পের সময় পাঠ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া বা জিকির সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়নি। এ সময় বান্দা নিজের মন থেকে আসা যেকোনো দোয়াই আল্লাহর কাছে করতে পারে; যাতে তিনি এ বিপদ থেকে পুরো জনপদকে রক্ষা করেন।
তবে মুসলিমদের জন্য যেকোনো বিপদে দোয়া ইউনুস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো সংকট ও অস্থিতিশীল সময়ে এই দোয়া পড়া সুন্নত। আল্লাহর নবী ইউনুস (আ.) বিপদে পড়ে বারবার এই দোয়া পড়েছিলেন। তখন আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে তাকে সংকট থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ-লিমিন।
অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র সুমহান। আমি নিশ্চয়ই জালিমদের দলভুক্ত।
ওমর বিন আব্দুল আযিয রা. থেকে বর্ণিত, তিনি তার অধীনে আমীরদের কাছে এই মর্মে চিঠি লিখতেন যে, তারা যেন ভূমিকম্পের সময় বেশি বেশি দান-সদকা করে।
ভূমিকম্পসহ যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে নেতৃস্থানীয়দের করণীয় হলো, অধীনদের সত্য ও সঠিক পথে চলতে আদেশ দেওয়া, নিজ নেতৃত্বাধীন এলাকায় আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা এবং লোকদের সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন- আর বিশ্বাসী পুরুষরা ও বিশ্বাসী নারীরা হচ্ছে পরস্পর একে অন্যের বন্ধু, তারা সৎকাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজে নিষেধ করে। আর যথাযথভাবে নামাজ আদায় করে ও জাকাত প্রদান করে, আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এসব লোকের প্রতিই আল্লাহ অতিসত্বর করুণা বর্ষণ করবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ অতিশয় ক্ষমতাবান হিকমতওয়ালা। (সূরা তাওবা:৭১)
কোরআনে বলা হয়েছে- আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। সূরা তালাক: ২।
পবিত্র কোরআনে এরকম অনেক আয়াত রয়েছে। ভূমিকম্প ও আল্লাহপ্রদত্ত অন্যান্য শাস্তিসমূহ মূলত আমাদের কর্মফল হিসেবেই ঘটে থাকে। সুতরাং দুর্যোগ চলাকালীন আল্লাহর কাছে পরিত্রাণের দোয়া করার পাশাপাশি সর্বদা পাপাচার থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খেয়ানত করা হবে, জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে, পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিয়ে পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল হবে, জাতির সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসকরূপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে নেতা, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে, তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হবে, মদ পান করা হবে, লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দেবে, এমন সময় তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে এবং এমন একটি ভূমিকম্প হবে যা সেই ভূমিকে তলিয়ে দেবে (তিরমিজি, হাদিস নং-১৪৪৭)।
আমরা বর্তমান পৃথিবীর দিকে তাকালে এ হাদিসের বাস্তবতা খুঁজে পাই।
আল্লাহ অধিকাংশ জাতিকে ভূমিকম্পের গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন। ভূমিকম্প এমনই একটা দুর্যোগ, যা নিবারণ, প্রতিকার বা প্রতিরোধ করা বা পূর্বাভাষ পাওয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি মানুষ অদ্যাবধি আবিষ্কার করতে পারেনি।
সুতরাং এর ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশ্রয় প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
মহান আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে উপরোক্ত আলোচনা গুলোর প্রতি গুরুত্ব সহকারে আমল করার তাওফিক দান করেন আমিন।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট। প্রতিষ্ঠিতা সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট।
]]>
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনজন লোক রসুল (সা.)-এর সহধর্মিণীদের ঘরে এসে তাঁর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তাদের তা জানানো হলে তারা সেসবকে অল্প মনে করল। তারা বলল, আমরা কোথায় আর রসুল কোথায়? রসুলের সমস্ত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বলল, আমি সারা রাত জেগে সালাত আদায় করব।
অন্যজন বলল, আমি সারা বছর রোজা রাখব, অন্যজন বলল, আমি নারী সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকব এবং বিয়েই করব না। রসুল (সা.) তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে বললেন ‘তোমরা এসব কথা বলেছ? জেনে রাখ, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সবার চেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয় করি এবং বেশি তাকওয়ারও অধিকারী। কিন্তু আমি সিয়াম পালন করি আবার সিয়াম থেকে বিরতও থাকি। সালাত আদায় করি আবার নিদ্রাও যাই এবং নারীদের বিয়েও করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে বিমুখ হবে সে আমার দলভুক্ত নয়।’ বুখারি।
যারা বারবার পাপ করে, কবিরা গুনাহ করে, বিয়ের আগে প্রেম করে নারীর সংস্পর্শে আসে, সুদ খায়, জুলুম করে, আমানত খেয়ানত করে, এতিমের হক খায়, অহংকারী, অপব্যয়কারী এরা সবাই সীমালঙ্ঘনকারী।
আল্লাহ বলেন, ‘আর আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না।’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ৫৭। ‘তোমরা আল্লাহ ও রসুলের আনুগত্য কর। তারপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের পছন্দ করেন না।’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ৩২।
এ আয়াত থেকে বোঝা গেল আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করা ফরজ। আল্লাহর নির্দেশ যেমন মানতে হবে তেমনি রসুলের নির্দেশও মানতে হবে। আর তা না মানলে হবে সীমালঙ্ঘনকারী। আল্লাহ কোরআনে আরও বলেন, ‘অহংকার কোরো না, আল্লাহ অহংকারীদের পছন্দ করেন না।’ সুরা আল কাসাস আয়াত ৭৬।
আমাদের সবার উচিত আল্লাহ আমাদের সবাইকে যা দিয়েছেন- সম্পদ, আয়ু, শক্তি, স্বাস্থ্য ইত্যাদি আখিরাতের কল্যাণে কাজে লাগানো। এসব ব্যাপারে কখনই গাফিলতি করা উচিত নয়। আল্লাহ আরও বলেন, ‘জমিনের বুকে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না।’ সুরা কাসাস আয়াত ৭৭।
আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজ সহধর্মিণী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করল তারা সীমালঙ্ঘনকারী হবে।’ সুরা মুমিনুন আয়াত ৬-৭। সুরা বাকারায় আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তোমরাও আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। কিন্তু সীমালঙ্ঘন কোরো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ভালোবাসেন না।’ আয়াত ১৯০। ‘আর আল্লাহ ফ্যাসাদ বিপর্যয় ভালোবাসেন না।’ আয়াত ২০৫।
আল্লাহ আরও বলেন, ‘তিনি কোনো বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞকে ভালোবাসেন না।’ সুরা আল হাজ আয়াত ৩৮। উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় যা প্রতীয়মান হলো সবই সীমালঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের তাঁর নেক বান্দা হিসেবে জীবন গড়ার তাওফিক দিন, সীমালঙ্ঘনকারী হিসেবে নয়।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী হযরত দরিয়া শাহ্ (রহ.) মাজার জামে মসজিদ সিলেট। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট।
]]>
আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন : ঈমান মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যে আল্লাহর ওপর ঈমান আনে এবং তাঁর প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখে, হতাশা ও অশান্তি তাদের গ্রাস করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তাদের সুখময় জীবন দান করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি মুমিন থাকা অবস্থায় সৎকর্ম করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী, আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন যাপন করাব এবং তাদেরকে তাদের উত্কৃষ্টকর্ম অনুযায়ী তাদের প্রতিদান অবশ্যই প্রদান করব।’(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা করা : পার্থিব জীবনের যেকোনো কাজ প্রয়োজনীয় মাধ্যম গ্রহণ করে এর পরিণাম আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেওয়াকে তাওয়াক্কুল বলা হয়। তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা একজন মুমিনের একান্ত কর্তব্য। কারণ এটি তাওহিদের প্রাণ বা ভিত। এর মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩)
মহান আল্লাহ যার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, তার জীবনে কোনো অপূর্ণতা থাকে না।
নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া : সুখময় ও সুন্দর জীবন উপভোগ করার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হচ্ছে, নিজের থেকে নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া। এতে মানুষ আল্লাহর নিয়ামতগুলো উপলব্ধি করতে পারে। সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের চেয়ে নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি দৃষ্টি দাও। তবে তোমাদের চেয়ে উঁচুস্তরের লোকদের দিকে লক্ষ্য করো না। কেননা আল্লাহর নিয়ামতকে তুচ্ছ না ভাবার এটাই উত্তম পন্থা। (মুসলিম, হাদিস : ৭৩২০)
আল্লাহর স্মরণে অন্তরের প্রশান্তি : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)
ভালো কাজে পরস্পরের সহযোগিতা : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তাকওয়া ও ভালো কাজে পরস্পরের সহযোগিতা করো। পাপাচার ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা করো না।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন মুমিনের জন্য আয়নাস্বরূপ। মুমিন মুমিনের ভাই। সে তার জমি সংরক্ষণ করে এবং তার অনুপস্থিতিতে তাকে হেফাজত করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯১৮)
হিংসাত্মক মনোভাব পরিহার : হিংসা মানুষের সুখ কেড়ে নেয়, আমল ধ্বংস করে। হিংসুক কখনো সুখী হতে পারে না। তাই ইসলামে অন্যের প্রতি হিংসা পোষণ করা নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অবশ্যই হিংসা পরিহার করবে। কারণ আগুন যেভাবে কাঠকে বা ঘাসকে খেয়ে ফেলে, তেমনি হিংসাও মানুষের নেক আমলকে খেয়ে ফেলে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৩)
সবার সঙ্গে ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ : ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ মানুষকে প্রশান্তি দেয়। এটি থাকলে মানুষ একে অপরের কল্যাণকামী হয়ে ওঠে। এর সুফল পরকালেও মানুষ ভোগ করতে থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, আমার জন্য যারা একে অন্যকে ভালোবেসেছিলে তারা কোথায়? আমি আজ তাদের আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব। আজকের এই দিনে আমার ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া নেই।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৬)
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সুখময় জীবন উপভোগ করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী হযরত দরিয়া শাহ্ (রহ.) মাজার জামে মসজিদ সিলেট। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট।
]]>হাজারো মানুষের কাঙ্খিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এর আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আব্দুর রহমান।
সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে শুরু করে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন মোনাজাতে হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহিম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনিব-ভৃত্য, ধনী-গরীর, নেতাকর্মী নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ পরওয়ারদেগার আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে চিল্লাধারী মুসল্লিরা ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুর, টঙ্গী ও আশুলিয়াসহ আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সকাল থেকে ময়দানে জড়ো হন।
জোড় ইজতেমায় ৪ মুসল্লির মৃত্যু: শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জোড় ইজতেমায় ৪ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া গ্রামের মৃত মুকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী (৩৫), দিনাজপুর সদরের মোস্তাপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮), সিরাজগঞ্জ সদরের শহিদুল ইসলাম (৬৫) ও আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২)।
আয়োজক কমিটির সন্তোষ প্রকাশ: শুরায়ে নেজামের ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান জোড় ইজতেমা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমা। শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি।
]]>ইসলামী দাওয়াত প্রদান করা তথা সৎকাজের আদেশ প্রদান করা ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ প্রদান করা সকল মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য। উম্মতে মুহাম্মাদীর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট হল দাওয়াত,আদেশ-নিষেধ,দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা নসিহতের দায়িত্ব। এই দ্বীনি দাওয়াত যে ব্যক্তি পালন করবে সে সফলতা অর্জন করবে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর যেন তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল হয়,যারা কল্যানের প্রতি আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দিবে এবং মন্দকাজ থেকে নিষেধ করবে আর তারাই সফলকাম।(সূরা ইমরান-১০৪)
দ্বীনি দাওয়াত দেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তার আওতাধীন সকল ব্যক্তির উপর দেওয়া অবশ্যক। পরিবারের কর্তার জন্য তার স্ত্রী,সন্তানদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে ইসলামের শারিয়া মোতাবেক পরিচালনা করা। মাদ্রাসা,মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ,স্কুল এর প্রধানগন তার সহকারী ও শিক্ষার্থীদের,মিল ফ্যাক্টরী বা বিভিন্ন গামের্ন্টস বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগন তার অধিনস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের, এলাকার মেম্বার-কমিশনার, চেয়ারম্যান, এমপি,মন্ত্রী কিংবা শাসকগন যার যার অধিনস্ত সকলকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয়ের জন্য দাওয়াত দিবে। কেননা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমরা প্রত্যেকেই যিম্মাদার এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্তদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত করা হবে। (বুখারী শরীফ)
দাওয়াতি কাজ মুসলিম অমুসলিম সকলের নিকট নিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে দেখা যায় যে যার দল নিয়ে ব্যস্ত ও নিজকে নিজেই বড় ইসলাম প্রচারকারী মনে করেন। পীর সাহেব মনে করেন আমরাই মুরিদসহ ইসলাম প্রচার করি, যারা সংগঠন করে তারা মনে করে শুধু সংগঠকরাই দাওয়তি কাজ করে, যারা মসজিদের মুয়াজ্জিন আজানের মাধ্যমেই তারা মনে করে আমরাই দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছি । ইমাম, খতিব মসজিদের খেদমতের মধ্যে নিজকে রেখে নিজকে বলে আমরাই কেবল দাওয়াতী কাজ করে থাকি। যারা মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র তারা ভাবে মাদ্রাসাই দাওয়াতী কাজ সীমবদ্ধ। আর যারা হাত দিয়ে লেখার মাধ্যমে লেখার কাজ করে তারা মনে করে আমরাই লেখনির মাধ্যমে দ্বীন প্রচার করছি। ওয়াজিন মনে করে আমার ওয়াজে হাজার হাজার জনতা আলোচনা শুনে আর আমি বিভিন্নএলাকায় ওয়াজের মাধ্যমেই দাওয়াত দিচ্ছি ওয়াজের মাধ্যমেই শুধু ইসলাম প্রচার করা হয়। আমাদের মধ্যে এরকম মনমানষিকতা বেশী কাজ করায় নিজকে নিজে ইসলামি দাওয়াতের বড় সেবক মনে করে নিজে অন্যের দাওয়াতি কাজের সমলাচোনা করি। একে অপরকে বলছি তাদের দরকার কি? মূলত যারা পীর সাহেব, যারা সংগঠন করে, মাদ্রাসায় পড়ে বা পড়ান, মসজিদের মুয়াজ্জিন ইমাম খতিব, ইসলামী চিন্তাবিদ, ওয়াজিন, বা যারা লেখা লেখীর কাজ করে তারা সকলেই ইসলামের পথে মানুষদের সাথে নম্র ব্যবহার করে তাদের বুদ্ধি মত্তা দিয়ে ইসলামের দিকে আহবান করছে। আর নম্র ভাল ব্যবহার করেই ইসলামরে পথে আহবান করতে হবে। হজরত আনাস (রা:) হতে বর্নিত, রাসুল (সা:) বলেন, তোমরা মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার কর,রুঢ় আচরন করনা, সুসংবাদ দাও,ভীত সন্ত্রাস্ত করারা।(বুখারী ও মুসলিম)
দাওয়াতি কাজ শুধুমাত্র খানকা, মসজিদে,সংগঠনে, ওয়াজ মাহফিলে, লেখালেখির কাজে সীমাবদ্ধ রাখলে হবেনা। বর্তমানে ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, তথ্য প্রযুক্তির যুগে অন্য ধর্মালম্বীরা যেভাবে তাদের ধর্মীয় কাজ সারা বিশ্বে মুহুর্তে প্রচার করছে তাদের তুলনায় আমরা মোটেও পারছি না। মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারকার্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ, ব্যপক হারে প্রচার করার জন্য ইহুদিদের রয়েছে প্রায় সাড়ে আট লক্ষেরও বেশী ওয়েব সাইট, খ্রিষ্টানদের প্রতারনায় রয়েছে প্রায় পাচ লক্ষের বেশী, তাছরা অনান্য অমুসলিমদের রয়েছে প্রায় চার লক্ষের বেশী ওয়েব সাইট। তারা তাদের ওয়েব সাইট,ফেসবুক, টুইটার,ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুসলমানদের নিকট তাদের দাওয়াতি কাজ করছে। তাই আমাদের দাওয়াত মুসলমানদের নিকট সিমাবদ্ধ না রেখে অমুসলিমদের নিকট গিয়ে আরো ব্যাপক হারে দাওয়াতি কাজ করতে হবে। অমুসলিমদের নিকটে দ্বীনি দাওয়াতের কারনে অমুসলিম দেশে ক্রমেই মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতারং বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ মাদ্রাসা,স্কুল বন্ধ থাকাবস্থায় কিছু বন্ধু মিলে একজন আলেমকে সাথে নিয়ে নিজ এলাকায় সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে সরকারী বেসরকারী উচ্চপদমর্যাদার কর্মকর্তা সহ এলাকার মেম্বার,চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী, সকলের নিকট দিয়ে দ্বীনি দাওয়াত প্রচার করলে আশা করা যায় মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিবে। যদি দাওয়াত প্রচারকারীদের তারা কোন রূপ অবহেলা করে কিংবা গালমন্দ করে মন খারাপ না করে নবী রাসুলদের কাজে এগিয়ে যেতে হবে। মুসলিম অমুসলিম ব্যক্তিকে দাওয়াত দিলে মানুক বা নাই মানুক ফায়দা হোক বা না হোক নিজের ফায়দা হবে। অন্যের ঈমান আমল দোরস্ত করার কাজে সহযোগিতা করলে আল্লাহ নিজের আমাল দোরস্ত করে দেন।
রাসুল (সা:) বলেন, একজন বান্দা আরেক জন বান্দার সাহায্যে থাকলে আল্লাহ পাকও তার সাহায্যে থাকবে। অন্যের ঈমান আমলের কাজে সাহায্য করলে আল্লাহ তায়ালা নিজের ঈমান আমলের ফয়সালা করে দিবেন।(মুসলিম শরীফ) মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই কাজ গুলো করার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী,
সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।
]]>‘জুমাদা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো স্থির, অবিচল, দৃঢ়, কঠিন; জমাটবদ্ধ, নিস্তব্ধ, নীরব, নিথর, পাথর; শুষ্ক, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, বিশ্বস্ত; শীতল, শীতকাল, শীতবস্ত্র; কার্পণ্য, বদ্ধমুষ্টি; কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অস্থির সময়, চিন্তাযুক্ত অবস্থা। যেহেতু শীতকালে তীব্র শীতে তরল পানি জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়ে যায়; জড় পদার্থগুলো জমে শক্ত হয়ে যায়; উদ্ভিদ ও জীব নিথর হয়ে যায়; প্রাণীরা নীরব হয়ে যায়; তাই এই মাসকে এই নামে নামকরণ করা হয়েছে। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন, ‘জুমাদা’ হলো শীতকাল। এটি বসন্তের নিকটবর্তী, গ্রীষ্মের পূর্ববর্তী। দুই ভূমির সীমানা বা দুই বাড়ির সীমানাকে এবং নিকট প্রতিবেশীকেও ‘জুমাদা’ বলা হয়। একত্রে এই দুই মাসকে ‘জুমাদায়ান’ বা ‘জুমাদায়িন’ বলা হয়, এতদুভয় হলো ‘জুমাদা’–এর দ্বিবচন; অর্থ হলো ‘জুমাদাদ্বয়’।
অন্যান্য মাসের মতো এই মাসেও অধিক পরিমাণে নেক আমল করা বাঞ্ছনীয়। এ মাসে নফল নামাজ ও নফল রোজা আদায় করা, দান–খয়রাত করার ফজিলত অনেক। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ তথা তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, জাওয়াল ও আউওয়াবিন নামাজ আদায় করা ভালো। এ ছাড়া কাজা রোজা থাকলে তা পুরা করা; মান্নত রোজা থাকলে তা আদায় করা; মাসের ১, ১০, ২৯ ও ৩০ তারিখে রোজা রাখা এবং চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ ‘আইয়ামে বিদ’–এর সুন্নাত রোজা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ‘জমাদিউস সানি’ তথা ‘দ্বিতীয় জুমাদা’ মাসে ‘রজব’ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আরও বেশি নেক আমল এবং অধিক পরিমাণে নফল নামাজ ও নফল রোজা করা উচিত। মূল কথা হলো ‘হার কে কদরে শব দারাদ; হামা শব শবে কদর আস্ত’, অর্থাৎ ‘যিনি রাতের মূল্য দেন, প্রতি রাতকেই তিনি শবে কদর হিসেবে পান।’ মানে হলো, নেক আমল ও সৎকর্মে সাধারণ সময়ও অসাধারণ হয়ে ওঠে।
জিকির–আসকার, দোয়া কালাম, দরুদ ও সালাম, তাসবিহ তাহলিল, তাওবা ইস্তিগফার, খতম তিলাওয়াত, সদকা খয়রাত ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে মাস অতিবাহিত করলে নিশ্চিত এর বরকত ফজিলত লাভ করা যায়। অন্যথায় সময়ের অপচয়ের জন্য অনুতাপ ও অনুশোচনা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘পরকালে নেককার মুমিন জান্নাতিগণের কোনো আফসোস থাকবে না; বরং তাদের আফসোস থাকবে শুধু ওই সময়ের জন্য, যে সময়টুকু তারা নেক আমল ছাড়া অতিবাহিত করেছে বা বেহুদা কাটিয়েছে।’(তিরমিজি)।
যেসব দিবসের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেই দিন ও মাসগুলোতে সাধারণত সবাই ইবাদত করে থাকেন, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন–হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, তাতে অধিক হারে নেক আমল করলে আমলকারী অবশ্যই অন্যদের অপেক্ষা এগিয়ে যাবেন ও অগ্রগামী হবেন ইনশা আল্লাহ।
শীত ও গরমের মৌসুমে বিশেষ ইবাদতের প্রসঙ্গে কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের আসক্তি আছে, তাদের আসক্তি শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তারা এই (কাবা) গৃহের প্রভুর ইবাদত করুক। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দিয়েছেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেছেন।’(সুরা-১০৬ কুরাইশ, আয়াত: ১-৪)। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ`লা যেন উপরোক্ত আলোচনার প্রতি আমল করার তাওফিক দান করেন আমীন।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী,
সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।
]]>