বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার (১ অক্টোবর) সাড়ে ১২টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। এর ছয় বছর পর ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।
১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।
]]>(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)
গতকাল রবিবার সন্ধা ৬টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডেস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, বর্তমান সহ-সভাপতি ভোলা-৪, চরফ্যাশন-মনপুরার মা, মাটি ও মানুষের নেতা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।
তিনি এক শোক বার্তায়, মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে; শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া আরও শোক জানিয়েছেন-ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদাউস, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুবদল নেতা মো. আক্তার ফারুখ বাচ্চু, মো. নাগর হোসেন, মো. জিয়াউদ্দিন জিয়া, মো. ফাইজুল হক নবিক, মো. ওমর ফারুক ,মো. আশরাফ উদ্দিন বাপ্পি, মো. বিল্লাল হোসে, মো. রিয়াজ হাওলাদার, মো. মহিবুল্লাহ, মো. ওলিউল্লাহ, ভোলা জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, চরফ্যাশন উপজেলা যুবদল আহব্বায়ক পদপ্রার্থী শহিদুল ইসলাম প্রিন্স মহাজন ও শশীভূষণ থানা যুবদল নেতা কামরুজ্জামান শাহীন প্রমুখ।
]]>সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর-২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত সপ্তাহে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালের নভেম্বরে মারা যান।
সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা থেকে সোমবার দুপুরে নেওয়া হবে তাঁর নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দায়। সেখানে জানাজা শেষে আবার তাঁর মরদেহ ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে। ঢাকায় একটি জানাজা হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান তাঁর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. শফিউদ্দিন চৌধুরী।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। পঞ্চাশের দশকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবার হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে ধর্মপাশা গ্রাম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে; তার লাশ মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি এক ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
]]>(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। আকবর আলি খানের ছোট ভাই কবীরউদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তোর সম্পন্ন করেন। পরে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ এবং পিএইচডি করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক বা এসডিও ছিলেন। সেসময় সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এ অপরাধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেই তার বিচার করে পাকিস্তান সরকার। দেয়া হয় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সরকারি চাকরির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। অবশ্য পরে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না এমন আশঙ্কায় তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে একযোগে পদত্যাগ করেন আকবর আলি খান। তিনি রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার জনপ্রিয় প্রকাশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে পরার্থপরতার অর্থনীতি, আজব ও জবর আজব অর্থনীতি, অবাক বাংলাদেশ:-বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি, বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্য:-একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ, দুর্ভাবনা ও ভাবনা:-রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ইত্যাদি।
]]>এই তো কদিন আগেই গেল তার জন্মদিন। কিন্তু হুট করেই (৩০ আগস্ট) রাতে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন বলে জানা যায়। শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি, চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ।
সাগর হুদার মৃত্যুর খবরে শোবিজ অঙ্গনের সবাই শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। এছাড়া আরও অনেকে এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
]]>