ঢাকা (রাত ৩:৫০) শনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে লোহাগড়ায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত Meghna News দাউদকান্দিতে দুই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমীরের শপথ গ্রহণ Meghna News সুশিক্ষিতরাই জাতিকে আঁধার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায় : আব্দুস সাত্তার Meghna News গৌরীপুরে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধনে কারামুক্তি ও চাকুরি প্রাপ্তির দাবী Meghna News গৌরীপুরে অগ্নিকান্ডে অবৈধ তেলের গোডাউনসহ বাসাবাড়ি-দোকানপাট ভস্মিভূত Meghna News চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ Meghna News আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল, যা বললেন আজহারী Meghna News ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ’ Meghna News ইসকন জ-ঙ্গিদের হাতে আইনজীবী সাইফুল খুন : সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর চোখেমুখে ঘোর অমানিশা

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের মানববন্ধন

অন্যান্য ২৭০৩ বার পঠিত

নুরুল হুদা নুরুল হুদা Clock সোমবার দুপুর ০১:৫৫, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

ফ্রান্সের ঘটনা ভুলে গেলে চলবেনা। সতর্ক প্রহরায় থাকতে হবে। যাতে এর পূনরাবৃত্তি না ঘটে। অপরদিকে উপজাতি রাজাকারদেরও অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আজ (১৪ই ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি সমমনা ইসলামিক দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

* বক্তারা বলেন, ফ্রান্সের ঘটনায় সারা বিশ্বব্যাপী জোর প্রতিবাদের ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনে তারা ভয় পেয়েছে। থমকে আছে। কিন্তু আমাদের এ প্রতিবাদের ধারা থামিয়ে দিলে চলবেনা। আর অব্যাহত রাখলেই চলবেনা। বরং দিন দিন আরো বেগবান করতে হবে। সতর্ক প্রহরা জারি রাখতে হবে। নচেৎ ফ্রান্সের মত অপশক্তিগুলো পুনরায় জেগে উঠতে পারে। কাজেই এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার যাতে পূনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।

* বক্তারা বলেন, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে ফ্রান্সের মত মানহানীকর ঘটনা ঘটলে, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো এবং জনগণের আবেগ-অনুভূতি ও দাবী-দাওয়ার বিষয়গুলো যথাস্থানে বা অভিযুক্ত রাষ্ট্রে পৌছে দেয়া এবং এমন অপকর্মের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ফ্রান্সসহ বিশ্বের সকল দেশকে চারটি নীতি গ্রহন করতে হবে।

* বক্তারা বলেন, সরকারের উচিত এই নীতিগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গন তথা জাতিসংঘ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রস্তাব উত্থাপন করা। প্রয়োজনে ওআইসি’র মত ইসলামী জোটগুলোকে সাথে নিয়ে দাবীগুলো উত্থাপন করা- ১. পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে। ২. পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতিকে সম্মান করতে হবে। ৩. পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতিতে আঘাত করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে জারী করতে হবে। ৪. পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতিকে আঘাত করার এই জঘণ্য অপরাধকে আইন করে বন্ধ করতে হবে।

* বক্তরা বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী উপজাতি রাজাকারদের কথা সরকারের তরফ থেকে প্রকাশ না করায় আমাদের নতুন প্রজন্ম জানেই না।

* বক্তরা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, উপজাতি রাজাকাররা এবং তাদের বংশধররা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘেও পৌছেছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। যুদ্ধাপরাধী উপজাতি রাজাকারদের বিচার হয়নি কিন্তু তাদের পুরস্কৃত করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি করা কি অপমানের নয়?

* বক্তরা বলেন, চাকমা রাজা কুখ্যাত ত্রিদিব মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বের হওয়া হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র’ (সশস্ত্র সংগ্রাম-১) নবম খ (জুন ২০০৯) ৯৩ পৃষ্ঠায় মে. জে. মীর শওকত আলী (বীর উত্তম) লেখেন : ‘চাকমা উপজাতিদের হয়ত আমাদের সাহায্যে পেতাম। কিন্তু রাজা ত্রিদিবের বিরোধিতার জন্য তারা আমাদের বিপক্ষে চলে যায়।’ অন্যদিকে ১৯৭১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বর্তমান উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম তার বই ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১’-এর (মার্চ ২০০৪) ২৬০ পৃষ্ঠায় লেখেন : ‘চাকমা রাজা ত্রিদিব প্রথম থেকেই নির্লিপ্ত এবং গোপনে পাকিস্তানিদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে।’

* বক্তরা বলেন, এছাড়া চাকমা পরিবার চিরদিনই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিরুদ্ধে থেকেছে। বিচারপতি সায়েম দেশের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপ্রধান হবার পর সে ত্রিদিবের মা বিনীতাকে তার অন্যতম উপদেষ্টা করে। সূত্র : ‘মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম’, (জানু. ২০০৬, অঙ্কুর প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৩৫)।

* বক্তরা বলেন, অন্য যুদ্ধাপরাধী বোমাং সার্কেলের রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীও ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও মন্ত্রী এই রাজা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে এবং হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলো।

* বক্তরা বলেন, চাকমা রাজা ত্রিদিব এবং বোমাং রাজা অং শৈ প্রু’র নাম বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে তৈরি যুদ্ধপরাধীর তালিকায় রয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রর বই ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর (ফেব্রু ২০০৮) ৮১ পৃষ্ঠায় এই দুই উপজাতির নাম জ্বলজ্বল করছে তাদের সেই সময়ের সহযোগী গোলাম আযম, আলী আহসান মুজাহিদ বা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামের পাশে।

* বক্তরা বলেন, শুধু রাজা নয়, অধিকাংশ উপজাতি যুবকেরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয় এবং সিভিল আর্মড ফোর্স (বা সিএএফ) অথবা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়। চাকমা যুবকদের রাজাকার বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নেয়া প্রসঙ্গে মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক তার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি মূল্যায়ন’ বইয়ের ৭৭ পৃষ্ঠায় লেখেন : ‘উপজাতীয় যুবকদের অধিকাংশই পকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত সিভিল আর্মড ফোর্স বা সিএএফ (রাজাকার বাহিনী হিসেবে পরিচিত)-এ যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতায় অংশ নেয়।

* বক্তরা বলেন, উপজাতি যুদ্ধাপরাধীদের বংশধররা বংশপরম্পরায় বাংলাদেশের বিরোধিতা করে আসছে। অথচ তাদেরই আবার দেশের প্রতিনিধি বানানো হয়েছে বিশ্বদরবারে, জাতিসংঘে। যুদ্ধাপরাধী চাকমা ত্রিদিব এবং বিচারক সায়েমের উপদেষ্টা ত্রিদিবের মা বিনীতার বংশধর এবং উত্তরাধিকারী দেবাশীষ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।

নিজামী ও মুজাহিদের মতো তার গাড়িতেও বাংলাদেশের পতাকা উড়েছে। মেক্সিকোর কানকুনে শেষ হয়ে যাওয়া জাতিসংঘের পানিবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের পক্ষে কাজ করেছে। জাতিসংঘের পানিবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংগঠন ইউএনএফসিসিসি এবং ইউ এন পার্মানেন্ট ফোরাম অন ইনডিজিনাস ইস্যুর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। (সূত্র : প্রথম আলো, ০২ জানুয়ারি ২০১১)

* বক্তরা বলেন, কুখ্যাত রাজা ত্রিদিবের মতো প্রমাণিত রাজাকারের পুত্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে? এখন তো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত সরকার। অতএব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের আমলে উপজাতি রাজাকারদের অপরাধের কেন বিচার হবে না? তাদের তালিকা কেন প্রকাশ করা হবেনা? মইত্যা, মইজ্জা রাজাকারের মত তাদের কেন ফাসী হবেনা?

* বক্তারা বলেন, বর্তমানে উপজাতি সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে। তারা মসজিদ বানাতে বাধা দিচ্ছে। মুসলমানদের উপর নিপীড়ণ করছে। সরকারকে অবিলম্বে উপজাতি সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মওলামা লীগের সভাপতি- পীরজাদা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল)। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, কার্যকরী সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়া (রানীপুরা) সহ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ ওমর ফারুক গোপালগঞ্জী, হাফেজ ক্বারী মুহম্মদ শাহ আলম ফরাজী, হাফেজ মুহম্মদ আব্দুল বারী, কারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আল কাদেরী, আলহাজ মুহম্মদ খোরশেদ আলম রেজভী, কাজী অধ্যাপক মাওলানা মুহম্মদ নোমান চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আল আমীন, মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আব্দুল গফুর, হাফিজ মাওলানা খালিদ হাসান, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম সিদ্দীকি আল কুরাইশি, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ মুজিবুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা মুহম্মদ মোকাম্মেল হুসাইন চৌধুরী, ক্বারী মুহম্মদ মনিরুজ্জামান, মুহম্মদ গরীব মাহবুব প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার। মিছিল শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।

 

 

বার্তা প্রেরক-
(আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মো: আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী)
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT