রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক নিয়মিত আসছেন না। এ কারণে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সঘেঁষা প্রাইভেট ক্লিনিকসহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ছয় লাখ মানুষের সেবার জন্য ১৯৯৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন জামুর্কিতে ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে মির্জাপুর ছাড়াও বাসাইল ও দেলদুয়ার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে।
হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, কর্মরত ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজন অন্যত্র প্রেষণে আছেন। এ ছাড়া ৪২তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ জন চিকিৎসককে এই হাসপাতালে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। প্রতিদিন ২৮ জন চিকিৎসক সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা; কিন্তু অনেকে নিয়মিত কর্মস্থলে আসেন না।
চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের বাংগলা গ্রামের মোকলেছ খান বলেন, তিনি সকাল ১০টায় ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। ডা. বাবুল আকতারকে না পেয়ে তিন ঘণ্টা ধরে বসে আছেন। তিনি দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো ডাক্তার দেখাতে পারেননি।
মহেড়া গ্রামের নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ডাক্তার এক্স-রে করতে বলেছিলেন। এক্স-রে করার পর রিপোর্ট দেখাতে ডাক্তার পাচ্ছি না। ’
হাজিরা খাতায় সই করা পাঁচজন ডাক্তার কোথায়—জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. লিটন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘তাঁরা হাসপাতালের বাইরে আছেন। ’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তারদের বসার জন্য কক্ষের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া দুজন ডাক্তার ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে আছেন। পাঁচজন সাবসেন্টারে বসেন। ’
তবে হাজিরা খাতায় সই করে ডাক্তার চলে যাওয়ার বিষয়টি ‘দুঃখজনক’ মন্তব্য করে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।