স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হত্যায় আরো ৫ আসামী গ্রেফতার, হাতুড়ি ও মটরসাইকেল উদ্ধার
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বুধবার সকাল ১১:৪৩, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও ৫ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে
তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড হুজরাপুর রেলবাজার এলাকার মৃত বিশুলাল চৌধুরীর ছেলে নিতাই চৌধুরী (৪৫), ২ নং ওয়ার্ড হুজরাপুর কাজীপাড়া এলাকার মৃত এঁচান ওরফে এচানের ছেলে মিলন ওরফে বেলাল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে সাজু ইসলাম (২৮), ১৫ নং ওয়ার্ড বড় ইন্দারা মোড় ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে নুর আলম ওরফে আলম (৩২) এবং সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের বেহুলা গ্রামের মাজহারুল ইসলামের ছেলে রানা ওরফে ছোট রানা (৩০)।
এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, খাইরুল আলম জেম হত্যার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা-ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত রবিবার (২৩ এপ্রিল)
দিবাগত রাতে জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুলসহ ৫ জন আসামীকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়াও এজাহারভূক্ত আসামী মেরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেম হত্যার পরপরই তদন্তে প্রাপ্ত ৩ জন রোকন, রুনু ও রনিকে আটক করা হয়েছে। এনিয়ে এই হত্যা মামলায় মোট ১৪ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, জেম হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুইটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে অভিযানে। এছাড়াও ধৃত আসামীদের দেয়া তথ্য মতে সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রেলবাজার এলাকা থেকে জেম
হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি মটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরের উদয়ন মোড়ে ইফতার কিনে বাসায় ফেরার পথে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন খাইরুল আলম জেম। আর ২২ এপ্রিল শনিবার খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা
মামলা দায়ের করেন।