ঢাকা (রাত ৮:২০) রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


ভাগ্নীর বিয়েতেএসে লাশ হয়ে ফিরলেন সজল রায়ের স্ত্রী দীপা রায় ও মেয়ে বৈশাখি রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock মঙ্গলবার রাত ০৯:৫৮, ২৮ জানুয়ারী, ২০২০

মোঃ জাকির হোসেন,জেলা প্রতিনিধি,মৌলভীবাজারঃ  কিছুদিন আগেই ভাগ্নীর বিয়েতে হবিগঞ্জ থেকে সপরিবারে মৌলভীবাজারে এসেছিলেন দিপা রায় (৩৫)। ২২ জানুয়ারি বিয়ে শেষ হলেও সোমবার ছিলো বিয়ের বৌভাত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের সাথেই হবিগঞ্জে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো আজকালের মধ্যেই।কিন্তু মেয়েকে নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলোনা দিপা রায়ের। ভয়াবহ আগুন অকস্মাৎ মা-মেয়ের জীবন কেড়ে নেবে এটা হয়তো ভাবেননি দিপা রায়ের স্বামী সজল রায় এবং তার ছেলে।মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পিংকি সু স্টোরে লাগা আগুনে পুড়ে অন্যান্য স্বজনদের সাথে মারা গেছেন মা-মেয়ে দুজনই। বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেননা আত্মীয় স্বজন সহ সবাই মৌলভীবাজার সাইফুর রহমান সড়কে অবস্তিত মেসার্স পিংকি স্টোর নামের যেই দোকানটি থেকে এক ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয় সেই দোকানের উপরের বাসাতেই আত্মীয়দের সাথে তার এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন দিপা রায়। আগুন লাগার পর বাসার অন্যান্য সদস্যদের মতো দিপা রায়ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওই বাসায় আটকা পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে আরও অনেকের সাথে তার ছেলে বাসার বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও ছোট মেয়ে বৈশাখীকে নিয়ে বের হতে পারেননি মা দিপা রায়। ফলে অন্য ৩ জনের সাথে নিহত হন মে মেয়ে তারা দুজন।দিপা রায়ের এক আত্মীয় জানান, কয়েকদিন আগেই সজল রায়ের বড় বোনের মেয়ে পিংকির বিয়েতে সপরিবারে মৌলভীবাজারে আসেন দিপা রায়। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার উমেদনগর গ্রামে । তার স্বামী সজল রায়। দিপা রায়ের আরও একজন ছেলে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা ৩০ মিনিটের সময় শহরের সাইফুর রহমান রোডের পিংকি সু স্টোরে গ্যাসের লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দোকানের পেছনে বাসায় এ সময় আটকা পরে কয়েকজন।দুপুর সাড়ে ১২টা ৩০ মিনিটের সময় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।নিহতরা হলেন পিংকি সু স্টোরের মালিক সুভাষ রায় (৬০), সুভাষ রায়ের মেয়ে প্রিয়া রায় (১৯), সুভাষ রায়ের ভাইয়ের স্ত্রী দিপ্তী রায় (৪৮), সুভাষ রায়ের শ্যালকের বউ দিপা রায় (৩৫), দিপা রায়ের মেয়েশিশু বৈশাখী রায় (৩)।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT