ঢাকা (রাত ৮:২৫) মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

‘শুভ্র’র হত্যাকারীরা এক চুলও ছাড় পাবে না’-আফজানুর রহমান বাবু

<script>” title=”<script>


<script>

বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেছেন, ‘শুভ্র’র হত্যাকারীরা এক চুলও ছাড় পাবে না, সে বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের একজন সৈনিক ছিল, আমাদের ভাই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আগামী মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্রুত বিচার সংক্রান্ত মামলার যে বৈঠক হবে সে বৈঠকে এই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান, মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবারকে শান্তনা দেয়ার সময় এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারে থাকাবস্থায় আমাদের লোককে মেরে ফেলবে, সেটা আমাদের কল্পনাতীত। এ ক্ষতি বঙ্গবন্ধু’র, এ ক্ষতি শেখ হাসিনার! শুভ্র হত্যাকান্ডের মামলার জন্য যা কিছু করতে হয় সবকিছুই আমরা করবো। দ্রুত যেন রায় হয় সেই ব্যবস্থাও আমরা করবো।
সাংবাদিকদের সাথে একেএম আফজালুর রহমান বাবু আরো বলেন, এ ঘটনাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবগত আছেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তোমরা যাও, পরিবারকে শান্তনা দিয়ে আসো। যা করতে হয়, আমরা সব করবো।

তিনি আরো বলেন, শুভ্র’র বাড়ি আওয়ামী লীগের অফিস। এখানে বঙ্গবন্ধু এসেছেন। এ বাড়ি থেকে বারবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়েছেন। দুঃসময়ে এ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে। এ পরিবারের তিন প্রজন্ম আওয়ামী লীগের।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট শুভ্র’র স্ত্রী তাহমিনা আক্তার চুমকী আক্ষেপ করে বলেন, আমার স্বামী রাজনীতির জন্য বলি হয়েছে, স্বামী হত্যার বিচার চাই। আমার স্বামীর যে কারণে মৃত্যু হয়েছে, আমি তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমার দু’টি সন্তান ছিলো। ওরাও মারা গেছে। আমি আমার স্বামীর স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আমিও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, চাই আপনাদের সহযোগিতা। আমার স্বামীর হত্যাকারীরা যেন ক্ষমতার ফাঁক গলে বেড়িয়ে যেতে না পারে। নিহতের মা খালেদা বেগম বলেন, আমার এক ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এখন আরেক ছেলেও হুমকিতে রয়েছে। তার ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই। এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু নিহতের মায়ের মাথায় হাত রেখে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন তাৎক্ষনিক প্রতিশ্রুতি দেন, নিহতের ছোট ভাই মামলার বাদী আবিদুর রহমান প্রান্ত ও তার পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সবসময় সতর্ক রয়েছে।

অপরদিকে নাতি হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে স্বাক্ষাৎ করার আকুতি জানান নিহত শুভ্র’র দাদু আয়শা আক্তার (তিনি ভাষাসৈনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাঃ এম.এ সোবহানের স্ত্রী)। করোনাকালীন এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিবেন বলেও জানান একেএম আফজালুর রহমান বাবু। এ সময় নিহতের বাবা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বাবুল, নিহতের চাচা আসেকুর রহমান বাচ্চু, সাদেকুর রহমান, ফুফু মাজেদা বেগম মুক্তি ও মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই মোঃ আবিদুর রহমান প্রান্তও কথা বলেন।
শুভ্র হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচীতে অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আরিফুর রহমান টিটু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মনি, বাণিজ্য সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম সাদেক, গণযোগাযোগ সম্পাদক তানভীর আক্তার শিপার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সিন্টু, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন কবীর, উপ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রব্বানী, আবু জাফর, আজহারুল ইসলাম অপু, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী রকেট, নেত্রকোণা জেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মারুফ হাসান খান অভ্র, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল হাসান লিটু। বিকেলে গৌরীপুর পৌর কবরস্থানে সদ্য প্রয়াত এ নেতার কবর জিয়ারত করেন। এসময় মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাতে অংশগ্রহন করেন নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে গৌরীপুর পৌর শহরের ঐতিহাসিক শহীদ হারুন পার্ক এলাকায় শুভ্র’র কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় কুশপুত্তলিকা দাহ ও টায়ার জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক মুর্শেদুজ্জামান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নীলুফার আনজুম পপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ম, নূরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মুন্নাফ, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ঈশ্বরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মাসুদ, যুগ্ম আহবায়ক মুখলেছুর রহমান মানিক, রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ।

উল্লেখ্য গৌরীপুর পৌরসভার পানমহালে পৌর মেয়র প্রার্থী হিসাবে গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে গণসংযোগ শেষে আব্দুর রহিমের চা দোকানে নির্বাচনী আলাপচারিতার সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাসুদুর রহমান শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার দুই কর্মী আহত হয়। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির (একাংশের) যুগ্ম আহŸায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ (৩৮), গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার দু’ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম (৪৫), সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল (৪২), রিয়াদুজ্জামান রিয়াদের ভাই কার্জন, উত্তর বাজার মহল্লার সাকিব আহম্মেদ রেজা (৩৩), পশ্চিম ভালুকার রিফাত (৩২), মইলাকান্দা ইউনিয়নৈর লামাপাড়ার মোজাম্মেল (৩০), নন্দুরা গ্রামের সুমন (৩০), পশ্চিম কাউরাট গ্রামের খাইরুল (৩০) ও হানিফ (৩০), পশ্চিম কাউরাট গ্রামের চান মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া (৩২), ইউনুছ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও আব্দুল খালেকের পুত্র মজিবুর রহমান (৩০) কে ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবি তদন্ত করছে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT