ঢাকা (সকাল ৬:২০) বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষা বন্ধ রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ

<script>” title=”<script>


<script>

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়াসহ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সেগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর মনে করে, করোনার সংক্রমণ রোধে এসব বিষয় ভূমিকা রাখবে।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সভায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও অধিদপ্তর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেই। এ জন্য সিদ্ধান্ত নিতে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ রকম অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচনার পর বিসিএস পরীক্ষার কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তবে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে কোথাও থেকে কোনো সুপারিশ তারা পাননি। এ ছাড়া পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাত্র এক দিন বাকি আছে। সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।

পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনেক পরীক্ষার্থীও বিভাগীয় শহরে চলে এসেছেন বা আসছেন। তাই এই মুহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ করা খুবই কঠিন। পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে দীর্ঘ বন্ধের পর ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই আলোচনার পর এখন ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না, সেটি অনিশ্চিত হয়ে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাও বলেছেন, সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ঘোষিত সময়ে স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব নয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে, গত মঙ্গলবারের সভায় করোনার সংক্রমণ রোধে আরও যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেঃ-

সম্ভব হলে পুরোপুরি ‘লকডাউনে’ যাওয়া,

সম্ভব না হলে অর্থনীতির ভারসাম্য রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করা,

কাঁচাবাজার, গণপরিবহন, শপিং মল, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান সীমিত রাখা,

কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের ‘আইসোলেশন’ জোরদার করা,

রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা,

আসন্ন ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা,

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয় জোরদার করা,

পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা এবং

সব ধরনের সভা ভার্চ্যুয়াল করা ইত্যাদি।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT