আলবেনিয়া থেকে কলকাতার দূরত্ব গুগল ম্যাপে অনেকটা। কিন্তু একজনের কাছে, এটা ছিল মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ। সেই তিনিই সাত সমুদ্র পেরিয়ে চলে এসেছিলেন এ দেশে।
গল্পটা শুরু থেকেই বলা যাক, অ্যাগনেসের বয়স তখন আট। আচমকা অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন, তার বাবা। আর এইসময় জীবনের নিদির্ষ্ট ছন্দে আরও গাঢ় হল মায়ের সাথে তার স্নেহের বন্ধন।কথায় বলে ‘চ্যারিটি বিগেনস্ অ্যাট হোম’, ছোট্ট অ্যাগনেসের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা ঘটেনি।
সেইসময় থেকেই চ্যারিটিকে জাপটে ধরে বাঁচার আর বাঁচানোর পথ খুঁজে পেয়েছিল একরত্তি মেয়েটা। গর্বিত মায়ের ছোট্ট অ্যাগনেস প্রসঙ্গে উক্তি ছিল-“আমার মেয়ে একটা দানাও মুখে তুলবে না, যদি না তুমি অন্যের সঙ্গে ভাগ কর।” কার সঙ্গে ভাগ করবে সে? মায়ের উত্তর, “যাদের কেউ কেউ আমাদের আত্মীয়, আর যাদের সব্বাই আমাদেরই আশপাশের কেউ না কেউ। ” নিজের অজান্তেই মা, তাঁর মেয়ের ভিতর পুঁতে দিয়েছিলেন, ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার বীজ। তারপর সেই বীজে রোজ একটু একটু করে জল দিয়ে, তাকে মহীরুহে পরিণত করেছিল, যে একরত্তি মেয়েটা। সেই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন, “মাদার টেরিজা”।
আজ এই অধৈর্য পৃথিবীতে, তার বড়ো দরকার। যখন একটুতেই মানুষ ধ্বংস করছে, খুন করছে.. তখন আমাদের শেখা উচিত সহ্যশক্তি আর ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়ার আনন্দ।
লিখেছেনঃ অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান