আদালতে মানুষের ভিড় হয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিমধ্যে ৩০ বিচারক কোয়ারেন্টিনে চলে গেছেন। এটা পরিষ্কার আদালতগুলোতে এই ভাইরাসের সংক্রমণটা বেশি হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে, জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে, তাদের জীবনের কথা চিন্তা করে আদালতগুলো আপাতত কিছুদিন বন্ধ রাখার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের আহ্বান থাকবে, আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা দেশের কথা চিন্তা করে, জনগণের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রথম থেকেই সরকার করোনাভাইরাসের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। আমরা প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম যে এখানে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার। আমরা বলেছিলাম, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করুন। তারা বন্ধ করেনি। পরে ১৬ তারিখে তারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।’
বর্তমান পরিস্থিত সবকিছু শাটডাউন করার মতো অবস্থায় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শাটডাউন না করলে যেভাবে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে, তা ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করবে। বাংলাদেশ এমনিতেই একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ দেশে এই ধরনের একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, এখন এটা বাইরের থেকে আসার দরকার হবে না, এটা দেশের অভ্যন্তরে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের দ্বারা সব জায়গায় ছড়াবে।’ ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।