ঢাকা (রাত ১১:৩৩) বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং

বাংলাদেশি মুখতারকে সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়ায় কাবার ইমামের অভিনন্দন

<script>” title=”<script>


<script>

বাদশাহ সালমানের রাজকীয় নির্দেশনার প্রথম দিনে সৌদির নাগরিকত্ব পাওয়ায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শায়খ মুখতার আলম শিকদারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গ্র্যান্ড মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে জেনারেল প্রেসিডেন্সির অফিসে শায়খ মুখতার আলমকে সম্মাননা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। শায়খ সুদাইস তাকে অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে অ্যাকাডেমি পাঠ প্রণয়ন ও পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার তৈরিতে একটি ইনস্টিটিউট গঠনের আহ্বান জানান।

পৃথিবীর অন্যান্যা ভাষার মধ্যে আরবি ভাষার ক্যালিগ্রাফির অনন্য সৌন্দর্যের প্রতি গুরুত্বরোপ করে শায়খ সুদাইস বলেন, ‌‘আরবি ভাষার নান্দনিকতার প্রতি জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আরবি ক্যালিগ্রাফি শিল্প চর্চার সব দেশের সুদক্ষ নাগরিকদের সুপ্ত প্রতিভাবে বিকাশে জেনারেল প্রেসিডেন্সি সব ধরনের সহায়তা করে।’

গত ১১ নভেম্বর সৌদি বাদশাহ সালমানের এক রাজকীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়। এদের মধ্যে প্রথম দিন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক, বিনিয়োগকারক, প্রযুক্তিবিদ, ক্রীড়াবিদসহ পাঁচ বিদেশি নাগরিক আছেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’-এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এ রাজকীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শায়খ মুখতার আলম শিকদার ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশীদের ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৯৮ হিজরি মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে তিনি পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৪১৬ সাল থেকে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলা বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৪২৩ হিজরি থেকে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত তিনি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ (কিসওয়াহ) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। আরবি ক্যালিগ্রাফি পেশায় তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ কাজ করছেন।

মুখতারের বাবার নাম মুফিজুর রহমান বিন ইসমাঈল শিকদার। মায়ের নাম শিরিন বেগম। তার বাবা কর্মজীবনের শুরুতে কিছুদিন ঐতিহ্যবাহী চুনতি হাকীমিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি দীর্ঘ সময় সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফার্মাসিস্ট হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। মূলত বাবার কর্মসূত্রে পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ সময় সৌদিতে কাটিয়েছেন। বর্তমানে মুখতার তার মা, স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে মক্কায় বসবাস করেন। মুখতারের চার ভাই ও এক বোন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT