ঢাকা (দুপুর ২:৩৮) বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

প্রতিবন্ধী মারিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এএসপি জুয়েল রানা



মুখে মায়াভরা হাসি,ডাগর আঁখি। চোখের ভাষায় কথা বলে -এমনই চোখ তার। কী অপলক চাহনিযুক্ত নিস্পাপ হাসি। যেনো কোথাও বিষাদ নেই। দেহ অবয়বে জুড়ে সরলতা আর কমলতার ছাপ।নিঃস্বাসে কেবল ভারি বেদনার বাতাস ঝরছে।

চোখের কোণে আঁখিজল ছলছল করে মায়াভরা শিশির কণার মতো খেলা করে-কী আশ্চর্য্য সুন্দরের লীলাভূমের মতো দেখা যায় তার ললাট,চিবুক,চুল ও কাজলহীন ভ্রু।

বলছিলাম মা-হারা সহায় সম্বলহীন তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মটুপি গ্রামের প্রতিবন্ধী মারিয়ার কথা,বাবা যদিও আছে তবে তার বাবাও মানসিক প্রতিবন্ধী। বয়েস সবেমাত্র দশের কোঠায়। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে।

কী করবে, কোথায় যাবে মারিয়া। এই অবুঝ শিশুটি শেষমেশ থাকার জায়গা হয়েছিলো দাদীর কাছে। জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতেছে। নিজের পা দুটি থাকা সত্ত্বেও ভর দিয়ে চলতে হয় তাকে। মানুষের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করতে গিয়ে পোহাতে হয় নানা বিড়ম্বনা।

বিষয়টি নজরে আসে দাউদকান্দি সার্কেল এর (দাউদকান্দি -চান্দিনা) মানবিক জৈষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার(এএসপি) মো. জুয়েল রানার। এই প্রতিবন্ধীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে,তার হাতে আবার বই খাতা তুলে দিতে সার্কেল এএসপি জুয়েল রানা নিজে ও রোটারি ক্লাব অব গৌরীপুর এর উদ্যোগে বর্তমানে মারিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এএসসি জুয়েল রানা প্রতিবন্ধী মারিয়াকে একটি হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছেন। সেই চেয়ারে মারিয়াকে বসিয়ে নিজেসহ ছবি তুলে এএসপি’র ফেসবুকে আপলোড করেছেন, সেই ছবি এখন টাইমলাইনে ভাসছে আর তার (এএসপির) মানবিকার বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে দেশ-দেশান্তরে।

এ বিষয়ে কথা হয় সার্কেল এএসপি মো.জুয়েল রানা’র সাথে তিনি জানান,”আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো মারিয়ার সুচিকিৎসার জন্য। আমি চাই তার মুখে হাসি ফুটুক। তার হাতে ভিক্ষার থালার পরিবর্তে বই,খাতা উঠুক।”

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT