ঢাকা (রাত ৯:১৬) বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং

পাঁচ বছরের শিশুকে ছয় টুকরা করে ভাসানো হয় সাগরে

<script>” title=”<script>


<script>

চট্টগ্রামে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে হত্যার পর ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আবির আলী নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গত ১৫ নভেম্বর শিশুটিকে অপহরণের পর তিনি হত্যা করেন।

ওই শিশুর নাম আলীনা ইসলাম আয়াত। তাকে অপহরণ করেন আবির আলী নামের ওই তরুণ।

আয়াত চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের এলাকায় একটি মুদি দোকান আছে। আয়াত স্থানীয় তালিমুল কোরআন নুরানি মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল।

গতকাল শুক্রবার পিবিআই জানায়, ১৫ নভেম্বর আয়াতের বাবা ইপিজেড থানায় মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ঘটনায় কয়েক দিন আগে সন্দেহভাজন আবির আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার আবির জানান, তিনি মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যা করেন। এরপর লাশ ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেন। গতকাল তাঁকে নিয়ে পতেঙ্গা থানাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বে টার্মিনাল এলাকায় চার ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার তৎপরতা চালালেও আয়াতের খণ্ডিত লাশের হদিস মেলেনি।

আবির আলী নয়ারহাট এলাকার সোহেল রানার ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ছেলে। আবিরের বাবা ভ্যানচালক এবং মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি রংপুর জেলায়। একসময় পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও ছয় মাস ধরে আবির বেকার বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।

পরিবার সূত্র জানায়, গত ১৫ নভেম্বর আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে বিকেলে পড়তে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, শিশুটি মক্তবে যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ইপিজেড থানায় জিডি করা হয়।

সন্তানকে না পেয়ে নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা সোহেল রানা ও মা তামান্না। তাঁরা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, থানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন। এলাকায় মাইকিং ও পোস্টার লাগানো হয়েছে।

পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘কয়েক লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করেছিলেন আবির। কিন্তু তাঁর মুঠোফোনের সিম কাজ না করায় মুক্তিপণের জন্য শিশুটির পরিবারকে কল দিতে পারেননি। নিজে ধরা পড়ে যাবেন—এই ভয়ে শিশুটিকে কেটে ছয় টুকরা করেন। পরে তা সাগরে ভাসিয়ে দেন। ’

ঘটনার দিনের কথা বর্ণনা দিয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, আয়াতদের ভাড়াটিয়া আবিরের মা-বাবা আট মাস আগে আলাদা হয়ে যান। এ সময় বাবা এখানে থাকলেও মা ইপিজেডের পকেট গেট এলাকায় বাসা নেন। ঘটনার দিন আরবি পড়তে যাওয়ার আগে আয়াতকে অপহরণের উদ্দেশ্যে আবির একবার কোলে নেন। কিন্তু বিভিন্ন মানুষ সেটা দেখে যাওয়ায় পরে তাকে ছেড়ে দেন। পরে কৌশলে তাকে তাঁদের বাসায় নিয়ে যান। এ সময় তার মুখ চেপে ধরলে ১০ মিনিটের মধ্যেই মারা যায় আয়াত। এরপর লাশ টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT