ঢাকা (দুপুর ২:৫৮) মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং
শিরোনাম
Meghna News রক্ষকের বেশে এক ব্যাংক ম্যানেজার যখন ভক্ষক! Meghna News বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত Meghna News নববর্ষ উদযাপনে কুমিল্লা-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর Meghna News ঈদ উপহার হিসেবে শিশুদের বই দিলো “সাংবাদিক শরীফ প্রধান পাঠাগার” Meghna News কাতার প্রবাসী ঐক্য পরিষদ সুনামগঞ্জ এর কমিটি গঠিত Meghna News দাউদকান্দিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ড.মারুফের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় Meghna News দাউদকান্দিতে নিখোঁজের দুদিন পর ডোবা থেকে অটো চালকের মরদেহ উদ্ধার Meghna News টিম গ্রুপের কর্পোরেট অফিসার আসিফকে ‘সম্মাননা স্মারক’ প্রদান Meghna News শরীফ প্রধান পাঠাগারে কবি মোহাম্মদ দিদারের বই উপহার Meghna News দাউদকান্দিবাসীর সঙ্গে এমপি আব্দুস সবুরের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

পবিত্র রজব মাসের ফজিলত ও ইবাদত

<script>” title=”<script>


<script>

‘রজব’ হলো আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহের মাস। রজব মাস বান্দার গুনাহ মাফের মাস। রজব মাসের সঙ্গে ইসলামের অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। হযরত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-রজব মাসে আকাশ পানে মেরাজে গমন করেছিলেন। হযরত নূহ (আ.) মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় রজব মাসেই কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন। হযরত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের- কাছে রজব মাসেই প্রথম ওহি আসে। এ ছাড়া রজব হলো জান্নাতের তলদেশ প্রবাহিত একটি নদীর নাম। এ নদীর পানি দুধের মতো ধবধবে সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। যারা রজব মাসে নফল রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে ওইসব রোজাদারকে রজব নদীর পানি দ্বারা আপ্যায়ন করবেন। সুমিষ্ট রজব নদীর পানি বরফের চেয়ে শীতল। যারা একবার রজব নদীর পানি পান করবে, তাদের আর কোনোদিন পানির পিপাসা লাগবে না সুবহানাল্লাহ।

আরবি বারো মাসের মধ্যে রজব মাস অত্যন্ত সম্মানিত। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান সমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই মহান আল্লাহর বিধানে মাসের সংখ্যা বারোটি, এর মধ্যে চারটি হচ্ছে (যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য) নিষিদ্ধ মাস; এটা নির্ভুল ব্যবস্থা। অতএব, তার ভেতরে (হানাহানি করে) তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না। (সুরা তাওবা :৩৬)।

আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে পুরো আরবে বছরের মধ্যে চার মাস যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ থাকত। মহিমান্বিত রজব মাসে আরবে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। হযরত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- সঙ্গী-সাথিদের রজব মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। সুনানে বায়হাকি শরিফ ৩/৩১৯-এ বান্দার দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিশেষ রাতের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচটি রাতের প্রথমটি হলো জুমার রাত, দ্বিতীয়টি ঈদুল ফিতরের রাত, তৃতীয়টি ঈদুল আজহার রাত, চতুর্থটি রজব মাসের চাঁদ উদয়ের প্রথম রাত, পঞ্চমটি মাহে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত।

তাফসিরে কুরতুবি ৯/৩৩২-এ উল্লেখ করা হয়েছেথ হজরত কায়েস ইবনে উবাদা বলেন, রজব মাসের দশ তারিখে আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন। এক কথায় বলা হয়, রজব হলো দোয়া কবুলের মাস। বান্দার ক্ষমা লাভের মাস। রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার মাস।

অন্যান্য মাসের মতো রজব মাসের জন্য বিশেষ কিছু নফল আমল রয়েছে; যা আমলের মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ ও জান্নাত লাভের পথ সুগম হয়। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) দুই হাত তুলে এ দোয়া পাঠ করতেন এবং সাহাবাদের পড়তে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবাও ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরির রমাদান। (মসনদে আহমদ)। অর্থ : হে আল্লাহ রজব আর শাবান মাসে আমাদের বরকত দান করে রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবিত রাখুন, আমাদের রমজানের ফজিলত অর্জন করার তৌফিক দান করুন।

রজব মাস এলে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইন, আইম্মায়ে মুজতাহেদিন সহ মুমিন বান্দারা বিশেষ কিছু নফল আমল করতেন। আমলিয়াতের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, এ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ইবাদত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম বৃহস্পতিবার রাতকে লাইলাতুল রাগায়িব বলা হয়। এ মাসের ১৫ তারিখের রাতকে লাইলাতুল ইস্তিফতাহ বলা হয়। এ মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতকে শবেমেরাজ বলা হয়। হজরত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের- মাধ্যমে যে কয়েকটি মোজেজা সংঘটিত হয়েছিল, এর মধ্যে মেরাজ হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের-সর্বোচ্চ মোজেজা। মেরাজের রাতের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের- নবুয়ত লাভ-পরবর্তী ঘটনাগুলোর মধ্যে মেরাজ সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা।

হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে- হজরত রাসূল (সা.) বলেছেন, হে সালমান! এমন কোনো মুমিন পুরুষ বা মুমিনা স্ত্রীলোক কি নেই যে, এ মাসের প্রথম তারিখে মাগরিব ও এশার ওয়াক্তের মধ্যবর্তী সময় ৪০ রাকাত (অন্যত্র ২০ রাকাত উল্লেখ আছে) নামাজ পড়বে; তা পড়ার নিয়ম হলো, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার সূরা ইখলাছ, তিনবার সূরা কাফেরুন পড়বে, এতে আল্লাহতায়ালা ওই বান্দার সব গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর আল্লাহতায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন শহীদের দলের সঙ্গে উঠাবেন এবং আল্লাহতায়ালা তাকে বড় আবেদ হিসেবে গণ্য করবেন। আর সে যেন এক বছর নহে, একশ’ বছর ধরে ইবাদত-বন্দেগি করেছে এবং আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তিকে জান্নাতে হাজারো মর্যাদা দান করবেন। এ মাসের ২৭ তারিখে রোজা রাখলে আল্লাহ জাহান্নামের আগুনকে রোজাদারের জন্য হারাম করে দেবেন এবং তার ওপর জান্নাত ওয়াজিব করে দেবেন, আর ওই ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কাছে অবশ্যই গৃহীত হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রজব মাসের ফয়েজ বরকত লাভের তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

 

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT