ঢাকা (বিকাল ৪:৩২) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

ধর্মপাশার পলমাটি গ্রাম জামে মসজিদের ২১লাখ টাকা আত্মসাত, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারীর সংবাদ সম্মেলন

<script>” title=”<script>


<script>

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের পলমাটি  গ্রাম জামে মসজিদের ২১লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। একই ইউনিয়নের পলমাটি গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির তৎকালীন ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলাম ও একই গ্রামের বাসিন্দা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হাজী গণিবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি  প্রধান শিক্ষক,জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন ওরফে জানে আলম ওরফে লিকসন এতে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়  আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের  অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদের টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষে কমিটির সেক্রেটারী আব্দুর রাশিদ  এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ বিভাগের ডিআইজি আব্দুল বাতেন সাহেবের সহায়তায় আবেদনের মাধ্যমে পলমাটি গ্রাম জামে মসজিদটির পূন নির্মাণ কাজের জন্য কাতার চ্যারেটি থেকে শর্ত সাপেক্ষে পাঁচটি কিস্তিতে ২১লাখ ৪০হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলে চুক্তি করা হয়।  ডিআইজি সাহেবের ভাগ্না আলী হোসেনের উপস্থিতিতে গত বছরের ২৯নভেম্বর পলমাটি গ্রাম জামে মসজিদের সামনে পলমাটি গ্রামের বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার  হাজী গণিবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি  প্রধান শিক্ষক জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন ওরফে জানে আলম ওরফে লিকসন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির তৎকালীন ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলামের সমন্বয়ে মসজিদ পুন নির্মাণ কাজের হিসাব পত্রের জন্য মৌখিকভাবে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট  একটি নির্মাণ কমিটি গঠন করা হয়।  মসজিদ কমিটি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সরকারি অনুদান ও বিভিন্ন ব্যক্তি অনুদানে দীর্ঘ দিনে মসজিদ ফাণ্ডের জমানো ৮লাখ ১৬হাজার টাকা ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীনের হাতে প্রদান করা হয় । পলমাটি গ্রাম জামে মসজিদের নামে কোনো একাউন্ট না থাকায় মসজিদ কমিটির সকল সদস্যের সম্মতিতে পলমাটি গ্রামের কৃতি সন্তান সিলেটের একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আব্দুল আউয়াল মিছবার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে কাতার চ্যারিটি থেকে মসজিদ উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত হয়। চলতি বছরের ১৫মার্চ কাতার চ্যারিটি থেকে দুটি কিস্তিতে আব্দুল আউয়াল মিছবার একাউন্টে ১২লাখ ৮৪হাজার টাকা এসে জমা হয়। এই টাকা থেকে ওই বছরের ১৮ মার্চ থেকে শুরু করে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট, ডাচ বাংলা একাউন্ট, ইসলামী ব্যাংকসহ নানা ভাবে নজরুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদীনের কাছে ১২লাখ ৮৪হাজার পাঠান  আব্দুল আউয়াল মিছবাহ ।  লেনদেন সংক্রান্ত প্রমাণাদি আমাদের কাছে রয়েছে । কাতার চ্যারেটির চাপ ও পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেন সাহেবের নির্দেশ পালন করতে পলমাটি গ্রামের মুরুব্বীদের অনুরোধে ডিআইজি  সাহেবের ভাগ্না আলী হোসেন  আব্দুল আউয়াল মিছবাহ বিভিন্নভাবে দোকান থেকে মালামাল বাকিতে এনে  পলমাটি গ্রাম  জামে মসজিদের পুন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। চলতি বছরের ১২জুলাই কাতার চ্যারিটির প্রতিনিধিদল  এসে সমস্ত গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে মসজিদ পুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। মসজিদ উদ্বোধনের দিন নজরুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদীন এলাকায় ছিলেন না। এ ছাড়া এই দুজনকে মসজিদ কমিটির সভায়  একাধিকবার  ডাকলেও তাঁরা কোনোরকম হিসাবপত্র না দিয়ে পুরো ২১লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন । সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়,এ নিয়ে মধ্যনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন সাহেবসহ মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার উপস্থিতিত চলতি বছরের ১৯সেপ্টেম্বর মধ্যনগর থানা প্রাঙ্গণে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে আত্মসাত করা পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও জামায়াত নেতা স্কুল শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও মসজিদ কমিটির তৎকালীন ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলাম এই টাকা এখনো বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। ওই দুজনের এলাকায় একটি লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে । তাঁরা মাদকসেবন, জুয়াসহ নানা অসামাজিককাজে লিপ্ত রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই হয়রানির শিকার হতে হয়। এ অবস্থা মসজিদের টাকা জমা না দিয়ে উল্টো মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী হিসেবে আমাকে ও আমাদের গ্রামের কৃতি সন্তান আব্দুল  আউয়াল মিছবাহকে আসামি করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে  চলতি বছরের ২৮সেপ্টেম্বর আদালতে মিথ্যা মামলা  দায়ের করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি,প্রতারক জামায়াত নেতা ও স্কুল শিক্ষক জয়নাল আবেদীন এবং তৎকালীন ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলামসহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জুবায়ের পাশা হিমু, সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন রানা,সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনাম,যুগ্ম সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ,দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহান আহমেদ প্রমুখ।

অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে যে টাকা পাঠানো হয়েছে সেই টাকার কাজ আমি করেছি। টাকা আত্মসাত করিনি।  জয়নাল আবেদীন দাবি করেন,তিনি মসজিদের কোনো টাকা জমা রাখেননি  এবং আত্মসাতও করেননি। আমাদের কোনো লাঠিয়াল বাহিনী নেই। আমি জামায়াতের কোনো কর্মী নই।  আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT