ঢাকা (রাত ৪:০১) বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

টানা ৩ বার নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র হলনে আইভী



দেশের মানুষ অনেক দিন পর একটি ভালো নির্বাচন দেখল নারায়ণগঞ্জে। প্রচার থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত প্রায় ১৮ দিন কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। ছিল না পেশিশক্তির দাপট। শান্তিপূর্ণ এই ভোটে আবারও মেয়র হিসেবে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বেছে নিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মানুষ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, মোট ১৯২টি কেন্দ্রে আইভীর প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। দুই প্রার্থীর ভোটের পার্থক্য ৬৬ হাজার ৫৩৫ ভোট। নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ্ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন দেয়ালঘড়ি প্রতীকে ১০ হাজার ৭২৪, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস হাতঘড়ি প্রতীকে ১ হাজার ৯২৭, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন বটগাছ প্রতীকে ১ হাজার ৩০৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট।

জাতীয় কিংবা স্থানীয় কোনো কোনো নির্বাচনে ভোটারের খরার কথা সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত। মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন—এমন কথাও বারবার আলোচিত হচ্ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ‘বিনা ভোটে নির্বাচন’ বা ‘একতরফা’ নির্বাচনের প্রবণতার পাশাপাশি হানাহানির ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থার মধ্যেই গতকালের নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন ছিল ব্যতিক্রম। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রচার শেষে সম্পূর্ণ গোলযোগমুক্ত এমন ভোট সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি।

পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির সদস্যরা ছিলেন কড়া পাহারায়। আনসার সদস্যরা কেন্দ্রের ভেতরে-গেটে ভোটারদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেটরা ঘুরে ঘুরে কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। স্বস্তি দেখা গেল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যেও। নিজের ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার—দুজনই বারবার ভোটারদের বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভোটার এলে জয়ী হবেন এমন আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। শুধু ভোটের ধীর গতি নিয়ে তারা কিছুটা উদ্বেগ জানিয়েছেন।

সকাল আটটায় ভোট গ্রহণের শুরুতেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এর মধ্যে নারী, পুরুষ, বয়স্ক, তরুণ—সব শ্রেণির ভোটারই ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা সময় শেষ হওয়ার পরও সারি থাকা ভোটারদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটদানে অনভ্যস্ততার কারণে ভোট গ্রহণে ধীর গতি ছিল বলে জানিয়েছেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা। আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT