ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:১৭) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

জবাবদিহিতার মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জলমহাল ইজারা প্রদান

<script>” title=”<script>


<script>

তারেক আল মুরশিদ, গাইবান্ধা থেকেঃ জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ আলোকে গত ১০ মার্চ ২০২০ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের ২৫৭ নং স্বারকে ৭৫ টি জলমহালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷ এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি ওয়েবসাইট , উপজেলা প্রশাসনের ফেইসবুক আইডি ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর ফেইসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন ৷ গত ২৪/০৩/২০২০ আবেদনকারী সকল মৎস্যজীবী সমিতি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে টেন্ডার বাক্স উন্মুক্ত করেন ৷ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ২০টি, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ৭২টি এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে ৪৪টি আবেদন সর্বোমোট ১৩৬ টি আবেদন পত্র জমা পরেছিলো ৷ ৭৫ টি জলমহালের বিপরীতে শুধু ৬০ টি জলমহালের আবেদন জমা হওয়ায় এবং ১৫ টি জলমহালের কোন আবেদন জমা না হওয়ায় সেগুলো পরবর্তীতে পুনরায় টেন্ডার প্রদান করেছিলেন ৷ ৬০ টি জলমহালের বিপরীতে ১৭ টি জলমহালে একটি মাত্র করে আবেদন জমা পেয়েছিলেন ৷ যেসব জলমহালে একটি মাত্র করে আবেদন জমা পেয়েছিলেন এবং অন্য কোন আবেদন না থাকায় উপজেলা জলমহাল কমিটি সেগুলো অনুমোদন করে৷ ৪৩টি জলমহালের একাধিক বা ততোধিক আবেদন জমা পাওয়ায়৷জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৫(৪)( চ)অনুচ্ছেদ বলা আছে, ” স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে যে সংগঠন /সমিতি সংশ্লিষ্ট জলমহালের নিকটবর্তী বা তীরবর্তী, যে সকল প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠনকে সংশ্লিষ্ট জলমহাল ইজারা প্রদান করতে হবে৷ ” যেহেতু ৪৩টি জলমহালে একাধিক আবেদন পাওয়া গিয়েছে নিকটবর্তী বা তীরবর্তী নির্ধারণের লক্ষ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা সমবায় অফিসার ৷ কমিটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলা জলমহাল কমিটির কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন। গত ৫/০৫/২০২০ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জলমহাল কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ। শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে এবং জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ আলোকে ১৪২৭-১৪২৯ বঙ্গাব্দের জলমহাল ইজারা প্রদান করেন ৷ এখানে কোন কারচুপি বা অনিয়ম করা হয় নাই। কয়েকটি মৎস্যজীবী সমিতি জলমহাল নীতিমালার ২০০৯ এর বাইরে গিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা প্রদানের জন্য উপজেলা জলমহাল কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করে৷ জলমহাল কমিটির নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক রামকৃষ্ণ বর্মন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT